মোহাম্মদ সালাহ—মিসর
কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরাতে পারেনি মোহাম্মদ সালাহর মিসর। ২০২১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেনেগালের কাছে হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি মিসরের। ২০১৮ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ সালাহর নৈপুণ্যে বিশ্বকাপে খেলেছিল মিসরীয়রা। তবে সে বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো খেলতে পারেনি তাঁর দল। জ্বলে উঠেতে পারেননি সালাহও। মাত্র একটি গোল করতে পেরেছিলেন মিসরের তারকা স্ট্রাইকার। লিভারপুলে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো সালাহকে নিশ্চয়ই বিশ্বকাপের মঞ্চে খুঁজে ফিরবেন অনেকেই।
আর্লিং হলান্ড—নরওয়ে
ম্যানচেস্টার সিটিতে চুক্তির পর থেকেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঝড় তুলেছেন হলান্ড। নরওয়ের হয়ে ২৩ ম্যাচে ২১ গোল করলেও তাঁর দল বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি। অবশ্য নরওয়ে সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছে হলান্ডের জন্মেরও দুই বছর আগে, ১৯৯৮ সালে। প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা হলান্ড নিশ্চয়ই ভীষণভাবে মিস করবেন বিশ্বকাপের মঞ্চ।
করিম বেনজেমা—ফ্রান্স
২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছে ফ্রান্স। একটা নাম নিশ্চয়ই খুঁজছিলে সেই দলে—করিম বেনজেমা। নিজ দলের সতীর্থকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে পাঁচ বছর জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তিনি। ক্লাব ফুটবলে নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে আবার জাতীয় দলে স্থায়ী হয়েছিলেন বেনজেমা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে এ বছর ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যেন তাঁর পিছুই ছাড়ছে না। ঊরুর চোটে পড়ে আবার জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েছেন ঠিক বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে। তবে শোনা যাচ্ছে চোট কাটিয়ে কাতারে ফিরছেন বেনজেমা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে মাঠে দেখা যেতেও পারে।
সাদিও মানে—সেনেগাল
এ বছর শুরুর দিকে সাদিও মানের নৈপুণ্যে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে চ্যাম্পিয়ন হয় সেনেগাল। সেনেগাল ও মিসরের মধ্যকার ম্যাচটি যেন হলিউড সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতোই সাজানো ছিল। যথারীতি দুই দলের দুই তারকা খেলোয়াড় মানে ও সালাহ গোল করেন। পুরোপুরি ১২০ মিনিট খেলা হয়। আর কোনো গোলের দেখা নেই। অবশেষে টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন হয় সেনেগাল। অনেকটা যুদ্ধ করেই সেনেগাল বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। কিন্তু সেই যুদ্ধের নায়কই থাকছেন না মূল রঙ্গমঞ্চে। চোটের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। কোচ অালিউ সিসে অবশ্য বিশ্বকাপের দলে রেখেছিলেন তাঁকে। কিন্তু চোট খুব গুরুতর হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই মানেকে সরিয়ে দিতে হয়েছে বিশ্ব আসর থেকে। তাই কাতার বিশ্বকাপে দেখা যাবে না দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করা সেনেগালের ফুটবলের ইতিহাসের সেরা জাদুকরকে।