কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে নতুন নতুন কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে গুগল নিয়ে আসছে সুখবর। গুগলের এআই শিগগিরই রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম হবে শুধু মানুষের কাশির শব্দ শুনে। গুগলের একদল গবেষক লাখ লাখ মানুষের কাশির শব্দ দিয়ে এআইকে প্রশিক্ষিত করে তুলছেন। আশা করা হচ্ছে, কাশির শব্দ শুনেই এই সিস্টেম কোভিড-১৯–এর মতো ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারবে। এমনকি যক্ষ্মাসহ বিভিন্ন রোগনির্ণয়ে সাহায্য করবে। একজন মানুষের ফুসফুস কতটা ভালোভাবে কাজ করছে, তা বলে দিতে পারবে।
তবে কাশির শব্দ শুনে রোগ ধরার প্রচেষ্টা এর আগেও হয়েছে। ধারণাটি এসেছিল কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে। তখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন, একজন মানুষের কাশির শব্দের মাধ্যমে শ্বাসযন্ত্রের রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। গুগল এই সিস্টেমকে বলছে ‘হেলথ অ্যাকোস্টিক রিপ্রেজেন্টেশন’। বিশাল তথ্যভান্ডার দিয়ে এটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গবেষকেরা মার্চের শুরুতে এই টুল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখনো পিয়ার রিভিউ বা অন্য বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয়নি। গুগলের গবেষকেরা বলছেন, এ সিস্টেমটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এটি ব্যবহার করা হবে কি না, এখনো বলা যাচ্ছে না। আপাতত তাঁদের পরিকল্পনা হলো, আগ্রহী গবেষকদের মডেলটিতে ব্যবহারের অনুমতি বা অ্যাকসেস দেওয়া। যেন অন্যরা এটি পরীক্ষা করতে পারেন। গুগলের এই গবেষণার লক্ষ্য হলো, এই ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা।
গুগলের এই রোগ শনাক্তকরণ এআই–কে অডিও রেকর্ডিং দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেমন কাশির শব্দ ব্যবহার করে ব্যক্তির স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য জানা যায়। প্রশিক্ষণের সময় এআই–কে নির্দেশনা দেওয়া হয় এই অডিও ক্লিপ রেকর্ডিংয়ের সময় লোকটির ব্রঙ্কাইটিস ছিল। এআই টুলটি এই তথ্যের সঙ্গে শব্দের বৈশিষ্ট্যকে যুক্ত করে। গুগলের গবেষকেরা নির্দিষ্ট করা নেই এমন তথ্যের ওপর নির্ভর করেছেন। স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবার জন্য পাওয়া যায় এমন ইউটিউব ভিডিও থেকে কাশি, শ্বাস, গলা পরিষ্কার ও অন্যান্য শব্দের ৩০ কোটির বেশি ছোট ছোট শব্দের ক্লিপ বের করে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
গুগলের গবেষকেরা কোভিড-১৯, যক্ষ্মা ও কেউ ধূমপান করেন কি না, এসব শনাক্ত করতে মডেলটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলী আলী ইমরান বলেছেন, ‘গুগলের ব্যবহৃত ডেটার পরিমাণ দিয়ে এই গবেষণার গুরুত্ব বোঝা যায়। এর মাধ্যমে আমরা আত্মবিশ্বাস পাই, এটি একটি নির্ভরযোগ্য টুল। ইমরান এ১৪কোভিড-১৯ নামের একটি অ্যাপের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।