আজম খানকে বলা হয় পপ-সম্রাট বা পপগুরু। তিনি বলেছিলেন, ‘একাত্তরে যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন তো আমাদের ছাত্রজীবন। আমরা বন্ধুরা সবাই তরুণ। মিলিটারিদের জন্য তখন বাড়িতে থাকা যাচ্ছিল না। বন্ধুরা মিলে চিন্তা করলাম, মরব যখন, তখন যুদ্ধ করেই মরি। আমি আর আমার দুই বন্ধু কচি আর শফি সকালের দিকে আম্মাকে বললাম, যুদ্ধে যাব। আম্মা আব্বার অনুমতি নিতে বললেন। ভয় পেয়েছিলাম। আব্বা মনে হয় এখনই চড় মারবেন। কিন্তু না। আব্বা বললেন, “যুদ্ধে যাবি ভালো কথা যা, কিন্তু দেশ স্বাধীন না করে ঘরে ফিরবি না।” (প্রথম আলো, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪) আজম খানের বয়স তখন ছিল ২১।
আমাদের বাবা-মায়েরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের উৎসর্গ করেছিলেন আমাদের ভালো রাখার জন্য। আমাদের ভাইবোনেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা কী করব? আমাদের ভাইবোনদের, পূর্বপুরুষদের ঋণ শোধ করব। কী করে? বাংলাদেশকে গড়ে তুলে। কীভাবে?
নিজেকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে। তুমি সুন্দর হলেই দেশ সুন্দর হবে, পৃথিবী সুন্দর হবে।