সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে সাততাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও। সাতপাঁচ না ভেবে সাতটা চক্কর দিয়ে আসো বাড়ির সামনের মাঠ থেকে। সাতটা বাজার আগেই নাশতার পর্বটা সারা চাই। সাতমাথার মোড়ে ব্যাপক যানজট। সাততলা থেকে আমি দেখতে পাচ্ছি। আমার মন অবশ্য সাত সমুদ্র তেরো নদী ঘুরে আসছে। সেসব নিয়ে সাতকাহন গল্প করতে পারব। করে লাভ কী! কিশোর আলোর সাত নম্বর জন্মদিন। সাত চড়েও রা করব না, তা তো হয় না। এমনিতে আমি কারেও সাতে-পাঁচে নাই। সাতঘাটের পানি খাওয়া লোক নই। তবু্ বলি, কোনো সংখ্যারই কোনো নিজস্ব মাহাত্ম্য নেই। ভালো কাজ করলে তেরোও ভালো। ভালো কাজ করতে না পারলে লাকি সেভেনও কিছু এনে দেবে না। তবে সাত বছর পেরিয়ে কিআ আটে পা দিল। কিন্তু আটেও সে আটকে থাকবে না।
বুঝতেই পারছ, সাত সংখ্যাটা নিয়ে নানা রকমের বাক্য রচনা করলাম মাত্র। সাত বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন, ৫২, ২৫ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর আসলে ৭। জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭টা স্তম্ভ। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠও সাতজন। কিআর সাত নম্বর জন্মবার্ষিকীতে সবাই সাত লক্ষ করে শুভেচ্ছা নাও।
বেশি করে বই পড়ো, বেশি করে খেলাধুলা করো, বেশি করে গান করো, ছবি আঁকো, আর করোনাকালে সাবধান থাকো। সাত দিনে সাতটা ভালো কাজ করবে। কেমন?