তখন আমার বয়স চার-পাঁচ বছর হবে। দেখতাম বাবা কদিন পরপর একটা রেজার দিয়ে শেভ করতেন। দেখতে খুব মজা লাগত আমার। তাই আমি বাবার পাশে দাঁড়িয়ে দেখতাম। আর মনে মনে ভাবতাম, আচ্ছা, শেভ করার অনুভূতিটা কী? কিন্তু যতবার করতে যেতাম, ততবারই মা–বাবা, ভাই বাধা দিতেন আর বলতেন, ‘খবরদার! শেভ কোরো না, গাল কেটে যাবে।’ একদিন মা রান্না করছিলেন। বাবা অফিসে, ভাই স্কুলে। ভাবলাম, এই–ই সুযোগ শেভ করার। তাড়াতাড়ি করে শেভিং ফোম ও রেজার খোঁজা শুরু করলাম। ছোটবেলায় বুদ্ধু টাইপের ছিলাম। বাথরুমে ছাড়া বাড়ির সব জায়গায় খুঁজলাম, পেলাম না। পরে বাথরুমে গিয়ে দেখি বেসিনের ওপর। তারপর আর দেরি না করে শেভিং ফোম হাতে নিয়ে গালে লাগাতে শুরু করলাম। এরপর রেজার দিয়ে শেভ করলাম। শেষ করার পর দেখি রেজারে চুল। মাথায় হাত দিয়ে দেখি সামনের দিকের অর্ধেক চুল নেই। আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। রাতে মাকে সব ঘটনা খুলে বললাম। এরপর আরকি, টাক করতে হলো আমার মাথা।