অধিক বিষণ্নতা এখন গুরুতর এক অসুস্থতার নাম। বিষণ্নতা জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর চিকিৎসাপদ্ধতি এখনো অধরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপোলিসের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল স্নায়ুবিদ বিষণ্নতার কারণ শনাক্তের নতুন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা দাবি করছেন, বিষণ্নতা নির্ণয়ে এমন কিছু লক্ষণ তাঁরা বের করতে পেরেছেন, যাতে সহজে বিষণ্নতা ধরা যাবে। এ কাজে প্রয়োজন হবে রক্ত পরীক্ষা করা। বিষণ্নতা বা হতাশা নির্ণয়ের জন্য একটি সাধারণ মান রয়েছে। এই মান কোনো রোগীর মেজাজের বিষয়ে চিকিৎসকের মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গের বিভিন্ন ধরন দেখে থাকেন চিকিৎসক। এসব লক্ষণ রোগীর আচরণের ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয়। রোগটি নির্ণয়ে নির্ভরযোগ্য জৈব রাসায়নিক উপায় খুঁজছিলেন গবেষকেরা। যাতে তাঁরা রোগটি শনাক্তের পাশাপাশি রোগের পূর্বাভাস দিতে পারেন। বিষণ্নতার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতির খোঁজও করছিলেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিদ আলেক্সান্ডার নিকুলেস্কুর নেতৃত্বে গবেষকেরা বিষণ্নতা শনাক্তকরণে সক্ষম এমন একটি মার্কার সেট পাওয়ার দাবি করেছেন। তাঁদের এই গবেষণায় রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএর ছোট্ট অংশ নিয়ে কাজ করেন তাঁরা। এ পরীক্ষায় তাঁরা বিষণ্নতা নির্ণয়ে বিশেষ আরএনএ মার্কার শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের দাবি, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই বিশেষ আরএনএ মার্কার ঠিক করা সম্ভব। তাঁরা আশা করছেন, সবকিছু ঠিকঠাক হলে রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি থুতু ব্যবহার করেও বিষণ্নতা পরীক্ষা করা যাবে। বিশেষজ্ঞরা বিষণ্নতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।