‘কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলে তাকালে, আর তখনই আবিষ্কার করলে সামনে বসে আছেন তোমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। তখন তোমার সাথে লেখকের কথোপকথনটা কেমন হবে?’ এটাই ছিলো সিলেট কিআ বুক ক্লাবের জুন মাসের সভার উপস্থিত লেখার বিষয়। সদস্যরা আগ্রহ নিয়ে পড়ে শোনায় তাদের কখনো পূরণ না হওয়া লেখকদের দেখার স্বপ্ন।
প্রিয় লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদকে ঘুম থেকে উঠে দেখা, তার রহস্যেঘেরা চরিত্রের আবিষ্কার, খাম-খেয়ালি স্বভাব আরও কত কি ছিলো জানার! সাথে আরো ছিলো শরৎচন্দ্র, রবি ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়ের মতো কিংবদন্তীদের দেখার অসীম ইচ্ছা।
১৭ জুন সভার শুরু হয়েছিলো কিআ রিভিউ এবং বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের লেখা মিসমিদের কবচ বইয়ের রিভিউ দিয়ে। এরপর শুরু হয় মজার খেলা, যার নাম ‘সুর শুনে গান খোঁজা’। সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে উঠে গানের সুর শুনে গান খোঁজায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ট্রাইবেকারে বিজয়ী হয় অরিত্র। সবশেষে ক্লাবের প্রয়াণ সদস্য রুদ্র দত্তের মৃত্যুতে তাঁকে স্মরণ করে স্মৃতিচারণ পর্ব এবং কবিতাপ্রেমী রুদ্রকে উৎসর্গ করে সমন্বয়ক মৌমিতার কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘মৃত্যুর পরে’ কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে শেষ হয় সিলেট কিআ বুক ক্লাবের জুন মাসের সভা।