‘এডমিরাল বেনবো’ সরাইখানাতে এল রুক্ষ চেহারার এক নাবিক। গায়ে মলিন নীল কোট। চুল নেমে পড়েছে কাঁধ অবধি, গালে মস্ত এক ক্ষতচিহ্ন। রহস্যময় তার আচরণ, অনেক দিন পর ঘটনাক্রমে মারা গেল নাবিকটি। তার সিন্দুক থেকে পাওয়া যায় একটি নকশা। আর কিছুর নয়, একটি রত্নভান্ডার সমৃদ্ধ দ্বীপ, যেখানে লুকানো আছে এক জলদস্যুর সারা জনমের সম্পদ।
এই সম্পদ উদ্ধারে নামে জিম হকিন্স, ড. লিজভি জমিদার ট্রিটলি, জন সিলভার এবং অন্যান্য আত্ম-প্রত্যয়ী নাবিক। তাদের সঙ্গী জাহাজ ‘হিসপ্যানিওলা’ আর ক্যাপ্টেন স্মালেট। রোমাঞ্চকর এক যাত্রা। জিমের দূরদর্শিতায় জানা গেল এই জাহাজের অর্ধেকের বেশি নাবিক বোম্বেটে জলদস্যু। আর গোলাবারুদ অস্ত্র তাদের হাতে। এদের হাত থেকে কি বেঁচে ফেরা যাবে? নাকি এদের স্বর্গলোকের পথে পা বাড়াতে হবে?
বিস্ময়কর প্রকাশভঙ্গিতে রচিত রোমাঞ্চকর এই কাহিনির বিস্তারিত জানতে হলে তোমাকে পড়তে হবে রবার্ট লুইস স্টিভেনসনের লেখা ট্রেজার আইল্যান্ড। অষ্টাদশ শতাব্দীর জাহাজ-জলদস্যু-গুপ্তধনের প্রেক্ষাপটে লেখা এ বইটি এখনো আনন্দ দেয় অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় মানুষদের।