ঘড়ি চুরি

ফেলু মিত্তিরের মতো রাত জেগে রহস্যের সমাধান করা কি তোমার নেশা? তিন গোয়েন্দার মতো খুলতে ইচ্ছা করে রহস্যের জট? ব্যোমকেশের আগেই কি তুমি খুঁজে বের করতে পারো অপরাধীকে?

তাহলে তোমার জন্যই রইল দারুণ এই রহস্যজট।

অলংকরণ: সিধু রাংসা

একটা জাপানি জাহাজ বন্দর ছেড়ে রওনা করছে উন্মুক্ত সাগরের দিকে। ক্যাপ্টেনকে তেলের যন্ত্রাংশের কাজ করতে যেতে হবে। তাই তিনি তাঁর দামি ঘড়িটি খুলে রেখে যান নিজের বাংকের সামনের টেবিলে; যেন এটি ঘষা লেগে নষ্ট না হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন ফিরে এসে দেখেন টেবিলের ওপরে ঘড়িটি নেই।

সন্দেহভাজন তিনজন ক্রুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। তাদের তিনি জিজ্ঞেস করেন ১০ মিনিট আগে তারা কী করছিল।

রাঁধুনি জানায়, ‘স্যার আমি রাতের খাবার রান্না করছিলাম।’

ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘আমি ইঞ্জিনরুমে কাজ করছিলাম। দেখছিলাম, সব ঠিক আছে কি না।’

নাবিক বলে, ‘আমি পতাকাটা ঠিক করছিলাম, স্যার। কে যেন সেগুলো উল্টো করে লাগিয়েছে।’

ক্যাপ্টেন সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন এই তিনজনের মধ্যে কে তাঁর ঘড়ি চুরি করেছে এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে বরখাস্ত করেন। কিন্তু কে চুরি করেছিল ঘড়িটি এবং কীভাবে?

(উত্তর দেখো নিচে)

উত্তর: নাবিকই চুরি করেছিল ঘড়িটি। জাহাজটি জাপানি। আর তোমরা নিশ্চয়ই জানো, জাপানের পতাকায় সাদা জমিনের ঠিক মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকে? কাজেই এটাকে উল্টোভাবে লাগানোর কোনো সুযোগই নেই।

রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে