কিছু কথা থাক না গোপন

মনে করো, তুমি ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসে আছো। আর তোমার বন্ধুটা বসেছে ফার্স্ট বেঞ্চে। তুমি বন্ধুকে একটা সিক্রেট মেসেজ পাঠাতে চাও যেটা সে বাসায় গিয়ে পড়বে। কী করা যায়? তুমি খুব সুন্দর করে চিরকুট লিখে ভাঁজ করে সামনের জনকে দিলে, যেন সে তার সামনের জনকে দেয়, আর এভাবে হাতবদল হতে হতে চিরকুটটা যেন তোমার বন্ধুর কাছে পৌঁছায়। এখন মেসেজটা হাতবদলের সময় তোমার কোনো এক বন্ধু ভাঁজ খুলে পড়ে ফেলে, তাহলে সিক্রেট আর সিক্রেট থাকল কী করে?

এসো দেখি, কীভাবে খুব সহজেই তোমার গোপন কথা গোপন থাকতে পারে।

আসলে বুদ্ধিটা খুবই সোজা। কেবল একটা লেবু লাগবে। একটা বাটিতে কিছুটা লেবুর রস নেবে। এই রসই হবে আমাদের সিক্রেট মেসেজ লেখার কালি! শুধু কালি থাকলেই তো হবে না, কালি দিয়ে লেখার জন্য কলমও তো লাগবে, তাই না? একটা কটন বাড কিংবা একটা কাঠি নিতে হবে, যার মাথা লেবুর রসে চুবিয়ে কাগজের ওপর লেখা যাবে। সাধারণ যেকোনো কাগজে লেবুর রস দিয়ে সিক্রেট মেসেজ লিখলে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি শুকিয়ে যাবে। সবাই দেখে ভাববে যে এখানে কিছুই লেখা নেই!

সাদা কাগজটা যখন হাতবদল হয়ে তোমার বন্ধুর কাছে পৌঁছাবে, তখন তাকে কী করতে হবে জানো? কাগজটা সূর্যের আলো কিংবা বাল্বের কাছে (যেকোনো তাপ উত্স হলেই হবে) ধরতে হবে। আর অমনি সিক্রেট মেসেজটি বাদামি রঙের লেখা হয়ে ফুটে উঠবে!

কী ঘটে?

আসলে লেবুর রস একধরনের অ্যাসিড। কাগজের যে অংশে লেবুর রস দিয়ে লেখা হয়, সেখানটা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে তাপ দিলে লেখাটা আগে পুড়ে গিয়ে বাদামি হয় এবং লেখাটা ভেসে ওঠে।

সতর্কতা

এখানে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কাগজকে তাপ দেওয়ার সময় অতিরিক্ত তাপ দেওয়া যাবে না, তাহলে কিন্তু লেখা ভেসে ওঠার বদলে গোটা কাগজই পুড়ে যাবে!