কিআর সঙ্গে আমার পথচলা শুরু ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে। এর আগে আমি কিআকে চিনতাম না। একদিন আনিসুল হকের 'চালাক গুড্ডুবুড়া, বোকা গুড্ডুবুড়া' বইটা পড়ছিলাম। তখন শেষের একটা লাইন আমার চোখে পড়ল ‘গুড্ডুবুড়া এখন পড়ে কিশোর আলো’। তখন থেকেই কিআ শব্দটার সঙ্গে আমার পরিচয়। কিআ কী, তা বুঝেটুঝে বাবার কাছ থেকে দুটি কিআ নিয়ে পড়তে লাগলাম। পড়ে ভালো লাগার পর ২০১৮ সালে গেলাম আমার জ্যাঠাতো ভাইয়ের বাসায়। দেখি সে–ও কিআ পড়ে। তাকে বললাম, কিআ নিয়ে যাব। কিন্তু ভুলে গেলাম। পরে ২০১৮ সালে আবার কোনো এক ঈদে গেলাম জয়িতা দিদিদের বাসায়। তাকেও বললাম, বাসায় যাওয়ার সময় কিআ নিয়ে যাব। আবার গেলাম ভুলে। কিন্তু একসময় চিঠি লিখে জানিয়ে দিলাম, কিআ দেওয়ার কথা। দিল, নিল। নিল কেন বলেছি জানো? কারণ, জয়িতা দিদিকে যখন চিঠি লিখে কিআ দেওয়ার কথা বলেছিলাম, তখন বাবার একটা কিআও দিয়েছিলাম সঙ্গে। ও আমাকে যে কিআটা দিল সেটার নাম ‘আজ ভুলে যা তোর দোস্ত দুশমন’। মজার ছিল কিআটা।
সেই যে কিআটা নিয়েছি, আর ফেরত দিইনি। কারণ, সেটা যে ছিল আমার প্রথম কিআ। অবশ্য বাবারগুলোও প্রথম ছিল। জয়িতা দিদির কাছ থেকে যে কিআটা নিয়েছি, সেটা পড়ে মজা লেগে গেল। তারপর থেকে কিআর জন্য প্রায় পাগল পাগল অবস্থা। সেই থেকে শুরু হয় আমার কিআ জমানো মিশন। আমাদের এলাকার হকার আঙ্কেলকে ধন্যবাদ এ কারণে যে তিনি অনেক কষ্ট করে আমাকে কিআ দেন। আমার কাছে এখন পর্যন্ত আছে ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সব কটি সংখ্যা। কিআকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এভাবেই সব সময় আমাদের পাশে থাকিস এবং আমার ইচ্ছা তুই বিশ্বসেরা ম্যাগাজিন হ।