বই পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। শুরুটা হয়েছিল বাবার হাত ধরে। স্কুলবাসে উঠে শুধু বই পড়ি বলে বন্ধুরা আমার নাম ‘বিদ্যাসাগরনি’ রাখতে একটুও দেরি করেনি।
পরে কিআ পড়ে দেখি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও আমার জন্ম একই তারিখে, একই মাসে! যদিও আমার পড়ার দৌড় গল্প–উপন্যাস পর্যন্ত। যাহোক, কিআর সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১৬ সালে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন। জানুয়ারি মাসে বাবা একটা ম্যাগাজিন কিনে আনল। নাম ‘কিশোর আলো’। খুব অদ্ভুত লাগল নামটা শুনে। তা ছাড়া নতুন কিছু পড়তে দারুণ লাগে আমার।
তাই প্রচণ্ড কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম, কখন ভাইয়ার পড়া শেষ হবে আর আমি পাব ম্যাগাজিনটা। ভাইয়ার পড়া শেষে আমিও সেই কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি হাতে পেয়ে যাকে বলে গোগ্রাসে পড়ে ফেললাম পুরোটা। পড়া শেষ করে আমার মনে হলো, এত সুন্দর একটি ম্যাগাজিন কেন আমি আরও আগে পেলাম না? শিশু–কিশোরদের উপযোগী এ রকম ম্যাগাজিন যে আছে, তা জানতামই না আমি। এরপর থেকে শুরু হলো কিআচর্চা। মা আর বাবার সাহায্যে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে লাগলাম কিআ পড়া।
অবশ্য পরীক্ষার সময় মা কিআ যে কোথায় লুকিয়ে রাখে, সেটা খুঁজতে খুঁজতে পরীক্ষাই শেষ হয়ে যায়।
কিআ আমার জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। ২০১৬ সাল থেকে কিআ আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। মন খারাপের সময় বা আনন্দের সময়ই হোক না কেন, কিআ না থাকলে সব কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আর কিআকে বন্ধু করায় ভয়টাও কম। অন্যদের মতো সে ছেড়ে যাবে না আমাকে। কিআকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক ভালোবাসি তোমায়।