কাক এখন নেই

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

আমাদের বাসার বারান্দায় একটা চড়ুই পাখির বাসা ছিল। ওদের সব সময় খাবার দিতাম আমরা। প্রায়ই কাক ওদের বিরক্ত করত। চেষ্টা করত চড়ুইয়ের বাচ্চাগুলোকে খেতে। একদিন একটা কাক একটা ছোট্ট চড়ুইকে ধরার চেষ্টা করছিল। ভয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ল চড়ুইটা। লুকাল ঠিক টিভির পেছনে। কাকটা কিছুক্ষণ বারান্দায় ঘোরাঘুরি করে চলে গেল। তারপর আমি টিভিটা একটু নাড়লাম, কিন্তু পাখিটা বের হলো না। টিভির সামনে দাঁড়িয়ে বললাম, ‘কাক এখন নেই’। তাও বের হলো না পাখিটা। তখন সবে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ শিখছি আমি। আমার খাতা থেকে অল্প একটু কাগজ ছিঁড়ে আম্মুর কাছে গেলাম। বললাম, ‘আম্মু, “কাক এখন নেই” বানান করে বলো, আমি লিখব।’ আম্মু বলল, ‘কেন?’ আমি গোঁ ধরে বললাম, ‘বলো না আম্মু।’ শেষে আম্মু বানান করে বলল, আমি লিখলাম। তারপর এক দৌড়ে কাগজটা ধরে রাখলাম টিভির সামনে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাখার পরও পাখিটা বের হলো না। আমি ভাবলাম, পাখিটাও হয়তো সবে লেখাপড়া শিখছে। তাই পড়তে একটু দেরি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর আম্মু এসে এ দৃশ্য দেখে তো হেসে অস্থির। আসলে কিছুক্ষণ পরই পাখিটা উড়ে চলে গিয়েছিল।