চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন। ঠিক করলাম, কিশোর আলোতে কবিতা লিখে পাঠাব। যেই বলা, সেই কাজ। বসে পড়লাম খাতা-কলম নিয়ে। কিন্তু কবিতা কীভাবে লিখতে হয় তা তো জানি না। জানব কী করে? আমি তো আগে কখনোই কবিতা লিখিনি। তবু চেষ্টা করা যাক। ভাবছি, কী নিয়ে কবিতা লেখা যায়। জানালার পাশেই বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ব্যস, বৃষ্টি নিয়েই কবিতা লেখা শুরু করলাম। দু-তিন লাইন লেখার পর গেলাম আটকে। কী মুশকিল! কিছুই মাথায় আসছে না। এখন কী করি! ভেবেছিলাম, কবিতা লেখা অনেক সহজ। এখন বুঝলাম, কবিতা লেখা এত সহজ কাজ না। প্রথম লাইন লিখলে দ্বিতীয় লাইনের ছন্দ মিলছে না। প্রথম ও দ্বিতীয় লাইন মিলে গেলে তৃতীয় লাইন মেলাতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত অনেক ভাবনাচিন্তার পর আট লাইনের একটি কবিতা লিখলাম। সবাইকে দেখানোর পর নিশ্চিত হলাম, কবিতাটি ভালোই হয়েছে। কবিতার নাম দিলাম ‘বৃষ্টি’। জুনের মাঝামাঝি সময়ে কবিতাটি পাঠিয়ে দিলাম কিশোর আলোর ঠিকানায়।
এখন শুধু জুলাই মাসের কিআ পাওয়ার অপেক্ষা। তারপর আর আমার কবি হওয়া ঠেকায় কে? জুলাই মাসের কিআ হাতে পেয়েই প্রথমে ‘আমরা সবাই রাজা’ বিভাগটা দেখলাম। আমার কবিতা ছাপা হয়নি। কিছুটা মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু আগস্ট মাসের কিআ পড়ার সময় দেখলাম ‘বৃষ্টি’ নামের একটি কবিতা ছাপা হয়েছে। আরে, এ তো আমারই লেখা কবিতা। কবিতাটি ছাপা হয়েছিল ২০১৫ সালের আগস্ট সংখ্যায়। দেখে মনে হলো যুদ্ধ জয় করে ফেলেছি। কবিতা লেখার এক বিশাল যুদ্ধ।