আমাদের চারদিকে কত সুন্দর সুন্দর ফুল। এক নিঃশ্বাসে কতগুলো ফুলের নাম বলতে পারো তা একবার দেখবে নাকি? পাঁচটা নাকি ১০টা? অনেক ফুলগাছ আমরা বাগানে লাগাই, কোনোটা বা বেড়ে ওঠে অবহেলা-অনাদরে। তেমনি কিছু ফুল নিয়ে এই কুইজ। ছবিগুলো এলোমেলো করে কিছু বর্ণনা দেওয়া হলো। দেখো তো বলতে পারো কিনা কোন বর্ণনা কোন ফুলের সঙ্গে মিলে যায়। না পারলে বড়দের সাহায্য না নিয়ে নিজেই বাগান ঘুরে ঘুরে ফুলগুলো খুঁজে বের করে চিনে নাও। আর একদমই না পারলে নিচে উত্তর দেখে নিতে পারো।
১. এমন একটা ফুলের নাম বলতে পারো, যে ফুলটা তোমার-আমার মতো যখন একেবারে তরুণ, তখন সে তার চুলগুলো ‘স্পাইক’ করে খাড়া রাখে। বুড়ো বয়সে এই ফ্যাশন আর থাকে না। পরিণত বয়সে সব চুল ঝরে একেবারে টাকমাথা হয়ে যায়! এবার বলো দেখি ফুলটার নাম কী?
২. ‘লাল টুকটুক বউটি, মাথায় টিকলি পরে,
সকালবেলা জন্ম তার, বিকেল হলেই মরে।’
বলো দেখি ফুলের নামটি, একটু চিন্তা করে।
৩. আমরা বাগ্ধারায় কতই পড়েছি ‘দা-কুমড়ো সম্পর্ক’, যার অর্থ ভীষণ শত্রুতা। এমন একটা ফুলের নাম বলো দেখি, যে গাছের ফুল ও পাতার মধ্যে দা-কুমড়ো সম্পর্ক লেগেই থাকে। অর্থাৎ, একে অন্যকে দেখতে পারে না। গাছে যখন পাতা থাকবে, তখন একটা ফুলও ফুটবে না। কী তাজ্জব ব্যাপার! আবার যখন ফুল ফুটবে তখন গাছে একটা পাতাও থাকবে না।
৪. আমরা সচরাচর দেখি যে বেশির ভাগ ফুলই ফোটে ভোরবেলা, আবার অনেক ফুলই ফোটে রাতের বেলা। তবে এমন একটি ফুলের নাম বলো, যে ফুল ফোটে সন্ধ্যাবেলা! ফুল থেকে যে ফল হয়, সেই ফল দেখতে লম্বাটে হয়। আবার বুড়ো বয়সে সেই ফলের ভেতর কঙ্কালের অস্তিত্ব ভেসে ওঠে। কঙ্কালটা দেখতে অনেকটা বাবুই পাখির বাসার মতো। বলো তো ফুলের নামটা কী?
(এই ফুল নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কবিতাও আছে।)
৫. এ ফুলের গাছ মাটির স্পর্শ ছাড়াই জন্মায়, মাটির স্পর্শ ছাড়াই বড় হয় এবং মাটির স্পর্শ ছাড়াই সারাটা জীবন পার করে দেয়। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো মাটির স্পর্শ ছাড়াই ফুলের গাছটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারে, যা অন্যান্য গাছের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।
৬. এই ফুলটা ওই গাছের তুলনায় আকারে প্রায় ১০ গুণ বড় হয় এবং একটি গাছে সাধারণত একটি মাত্র ফুল ফোটে। ফুলটা কিন্তু তোমার-আমার বেশ পরিচিত (রান্না করে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়)। এবার বলো তো এর নাম কী?
উত্তর: ১ . কদম ফুল | ২. জবা ফুল | ৩. শিমুল ফুল | ৪. ঝিঙে ফুল | ৫. কচুরিপানা | ৬. ফুলকপি