মাত্র সাত বছর বয়সের ছোট্ট ছেলেটিকে রেখে চলে গেলেন, না ফেরার দেশে! আজ ১৬টি বছর ‘বাবা’ শব্দটি মনের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার যখন ১১-১২ বছর বয়স, তখন আমাকে গ্রামের বাড়ি (মাদারীপুর, শিবচর) থেকে ঢাকায় এনে আমার বড় ভাই এবং বড় বোন একটি স্কুলের হোস্টেলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। আমাদের অবস্থা তখন অতটা ভালো ছিল না। একদিকে বাবা নেই, অন্যদিকে বোনের নতুন চাকরি, বড় ভাইয়ার নতুন ব্যবসা, মেজো ভাইয়া কলেজে পড়ছিলেন। আর আমাকে ঢাকায় দিয়ে গ্রামের বাড়িতে আম্মা পুরো একা হয়ে গেলেন। তবে আমি যখন হোস্টেলে ছিলাম, তখন খুব মন খারাপ হতো। কারণ, আমি দেখতাম, আমার বন্ধুদের বাবা ওদের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, আদর করে যেতেন। তা দেখে খুব আফসোস হতো! আর মনে মনে বলতাম, ‘আজ যদি বাবা বেঁচে থাকতেন, তাহলে হয়তো আমাকেও এভাবে একটু আদর করে যেতেন।’ হোস্টেলে দেখা করতে আমার বড় ভাই-বোন মাঝেমধ্যে আসতেন, আদরও করে যেতেন। কিন্তু বাবার আদর আর ভাই-বোনের আদরে আমার কাছে বিশাল তফাত মনে হতো। তা আমি কিছুই মনে করতাম না। সব কষ্ট চেপে রেখে হোস্টেলে বন্ধুদের সঙ্গে হাসিমুখেই থাকতাম। কাউকে তেমন কিছু বুঝতে দিতে চাইতাম না।