কিআর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় মনেই হয়নি যে আমার মাঝে এক অন্য আমির খোঁজ পাব। আগে আড়ালে কাজ করতেই স্বচ্ছন্দ্য ছিলাম। নিজের কাজের কৃতিত্বও অনেক ক্ষেত্রে অন্যকে দিয়ে পালিয়ে যেতাম। তবে কিআ আমার এই ইতস্ততাবোধ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে।
আগে স্কুলের নানা কাজ কিংবা স্কুলের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার-সনদ জমানোই ছিল নেশা। তবে এখন অনেক নেশা মাথায় ভর করেছে আমার। নিজেকে বুঝতে শিখছি। বুঝেছি নিজেকে আড়াল করে কোনো অর্জন প্রকৃত অর্জন নয়।
কিআ নিজেকে প্রকাশ করতে শেখায়। আমার মতো, নিজেকে প্রকাশ করতে না পারাই ছিল আমার বড় অক্ষমতা, যা অনেকটাই কমিয়ে এনেছে কিআ। এ ক্ষেত্রে কিআ ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবের কথা বলতেই হবে। ক্লাবের হয়ে করা প্রতিটি কাজই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে নিজস্ব গণ্ডি পেরোতে।
কিআর মাধ্যমে পেয়েছি অনেক ভাইবোন, যারা সব সময় আমার পাশে আছে। তারা এত যত্নশীল যে আমার কথার জড়তা নিয়ে কখনো ভাবতে হয়নি। তাদের সমর্থনকে শক্তি ভেবেই এগোনোর উৎসাহ পাই সব সময়।
কিআ আমাকে একা চলতে পথ দেখিয়েছে। এখন আমি একাই নিঃসংকোচে চলাফেরা করতে পারি। আমার এই পরিবর্তনের জন্য কিআকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী, দ্বাদশ শ্রেণি, কুইন্স কলেজ, ঢাকা