অ্যানিমে
অ্যানিমে ১৬
‘অ্যানিমে’ শব্দটি মূলত অ্যানিমেশন ইন জাপান-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯১৭ সালে জাপানি শিল্পী শিমোকাওয়া ওতেন, জুনিচি কাওচি ও সেতারো কিতাইয়ামার হাত ধরে এর যাত্রা শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহে ৪০টির বেশি অ্যানিমে মুক্তি পায়। চলো জেনে নিই অ্যানিমে নিয়ে দারুণ কিছু তথ্য।
সেজি স্যান (Sazae-san) সবচেয়ে বড় অ্যানিমে সিরিজ। ১৯৬৯ সালের ৫ অক্টোবর থেকে প্রচারিত সিরিজটির প্রতি এপিসোডের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ মিনিট। এটির ৯ হাজারের বেশি পর্ব প্রকাশিত হয়েছে, যা এখনো চলমান।
প্রতিটি এপিসোডের দৈর্ঘ্য ২০ মিনিটের বেশি হলে তাকে যথার্থ অ্যানিমে বলা যেতে পারে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত প্রচারিত ১ হাজার ৪৮৮ এপিসোডের এমন এক অ্যানিমের নাম মাঙ্গা নিপন মুকাশি বানাশি (Manga Nippon Mukashi Banashi)। এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অ্যানিমে সিরিজ।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যানিমে মুভিটি হলো কিমি নো না ওয়া বা ইয়োর নেম, বিশ্বব্যাপী যা আয় করে প্রায় ৩৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জাপানিজে মাঙ্গার অর্থ ‘কৌতুকপূর্ণ ছবি’। সব মাঙ্গায় হাত দিয়ে আঁকানো হয়।
জাপানে টয়লেট পেপারের চেয়ে বেশি কাগজ ব্যবহৃত হয় মাঙ্গার জন্য।
সারা বিশ্বে অ্যানিমেভক্ত পাওয়া গেলেও এর মূল ভিত্তি জাপানেই। সেখানে স্ট্যাচু বা ল্যান্ডমার্ক থেকে শুরু করে রেলস্টেশন, পথে-ঘাটে অ্যানিমের ছোঁয়া পাওয়া যায়। যেমন জাপানের ওদাইবাতে গেলে দানবাকারের এক রোবট অ্যানিমে চরিত্র তোমাকে স্বাগতম জানাবে।
চীনে ডেথ নোট অ্যানিমেটি নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ, ছেলেমেয়েরা ডেথ নোট নোটবুক কিনে সেখানে নিজেদের অপছন্দের মানুষদের নাম লেখা শুরু করেছিল।
জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাঙ্গা হলো ওয়ান পিস, যা ৫ বছর চলার কথা থাকলেও ১৮ বছরে দাঁড়িয়েছে এবং থামার কোনো নামগন্ধ নেই।
ওয়ান পিস-এর মূল ইংরেজি ডাবিংয়ের কাজ করেছিল চার শিশু।
জাপানে মাঙ্গা ক্যাফে প্রচলিত আছে, যেখানে পাঠকেরা কফির সঙ্গে মাঙ্গা পড়ে সময় কাটাতে পারে।
Anime একটি জাপানিজ শব্দ, এর কোনো বহুবচন নেই। অর্থাৎ animes বলে কোনো শব্দ নেই।
ডেথ নোট–এর জনপ্রিয় চরিত্র ‘এল’–এর এসপার্জার সিনড্রোম ছিল।
টোকিওর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত আকিহাবারা। জাপানের সবচেয়ে বড় অ্যানিমে মার্কেট। ২০ হাজারের বেশি দোকান রয়েছে সেখানে। পাওয়া যায় মাঙ্গা, ভিডিও গেমস এবং অ্যানিমেকেন্দ্রিক যেকোনো ধরনের জিনিস।
জাপানের অ্যানিমে কনভেনশনসগুলোকে অ্যানিমে ইউটোপিয়াও বলা যায়। ‘অ্যানিমে জাপান’–এর ইভেন্টে অংশ নেয় প্রায় দেড় লাখের মতো মানুষ, মাত্র তিন দিনে!
জাপানে অ্যাটাক অন টাইটান–এর একটি থিম পার্ক আছে। নর্ডলিগেন, জার্মানির একটি শহর, যাকে কেন্দ্র করেই অ্যাটাক অন টাইটান–এর শহরটি বানানো হয়।
জাপানের ৩৬টি স্কুলে অ্যানিমে একটি পাঠ্য বিষয়।