আমার মামার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ইব্রাহিমপুর গ্রামে। ওই ইব্রাহিমপুরে আমার ছোটবেলার অসংখ্য স্মৃতি গেঁথে রয়েছে আমার মনে। যা মোছে না, মুছবেও না কোনো দিন। বিরাট এক পুকুর ছিল বাড়ির পেছনে। দুই পাড়ে বাঁশ আর অন্যান্য গাছের জঙ্গল। অন্য যে দুই পাড়ে বাড়িঘর ছিল, সেগুলোরও বেশির ভাগ এত বেশি গাছপালায় ছাওয়া, জঙ্গলই মনে হতো। এক কোণে জঙ্গল এত ঘন ছিল, প্রায় অন্ধকার থাকত দিনের বেলাতেও। ভয়ে সেদিকটায় পারতপক্ষে যেতে চাইত না লোকে। বিশেষ করে সাপের ভয়ে। আর আমার বয়সীদের জন্য সাপের ভয় তো ছিলই, ছিল ভূতের ভয়ও। অবশ্য কোনোকালেই ভূতপ্রেতকে খুব একটা পরোয়া করতাম না আমি। মাঝেমধ্যে শেওড়াগাছ আর তেঁতুলগাছের মগডালে উঠে যেতাম ভূত আবিষ্কারের জন্য। নানি বলত, ওসব গাছেই নাকি ভূত-পেতনি থাকে বেশি।
কোণের ঘন জঙ্গলটার প্রতি আমার আকর্ষণ ছিল দুর্নিবার। কারণ, যত রাজ্যের পাখির বাসা ওখানে। নানা রকম প্রজাপতি আর ফড়িং ধরা যেত। ফড়িং ধরতাম একটা বিশেষ কায়দায়। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে হু হু বাতাসে ঢেলাখেতের ধুলা উড়ত, বনের গাছপালার মাথা দুলিয়ে ক্রমাগত বয়ে যেত দামাল হাওয়া। হাজার হাজার ফড়িং উড়ত তখন বাতাসে। কত রঙের আর কত রকমের ফড়িং যে ছিল! লম্বা পাটখড়ির মাথায় একধরনের গাছের ঘন আঠা পুরু করে লাগিয়ে নিয়ে ফড়িংগুলোর মাঝে নাড়তাম। আঠায় পাখা আটকে যেত ফড়িংয়ের। কায়দাটা আমার নিজের আবিষ্কার। এক শিকারিকে পাখি ধরতে দেখে শিখেছিলাম। চার টুকরা বাঁশের কাঠিকে আড়াআড়ি বেঁধে তাতে ওই আঠা মাখিয়ে দিত শিকারি। এমনভাবে বাঁধা হতো কাঠিগুলো, চারটা পা তৈরি হতো, দাঁড় করিয়ে রাখা যেত। চারটা কাঠি যেখানে এক জায়গায় মিলিত হয়, সেখানটায় তেলাপোকা বেঁধে দিত। এ রকম অনেকগুলো ফাঁদ তৈরি করে নিয়ে গিয়ে রাখত বাঁশবনের ধারে ছোট্ট একচিলতে জমির একধারে। ছোট একটা বাঁশঝাড় ছিল সেখানে। দোয়েল, শ্যামা আর শালিকের ভিড় ছিল তাতে। তেলাপোকা খাওয়ার লোভে পাখি এসে বসত ফাঁদের কাঠিতে, পা আটকে যেত আঠায়। ভয় পেয়ে উড়ে যাওয়ার জন্য যতই ছটফট করত, ডানাও যেত জড়িয়ে। ধরা পড়ত। এই পাখি ধরার ব্যাপারটা আমার ভীষণ ভালো লাগত, সাংঘাতিক উত্তেজনা। পাখি ধরা দেখেই মাথায় এসেছিল বুদ্ধিটা। আঠা যদি পাখিকে আটকে ফেলতে পারে, ফড়িংকে পারবে না কেন?
কোণের জঙ্গলে আরেকটা আকর্ষণ ছিল আমার, পাখির ডিম। গাছে গাছে টিয়ার বাসা। গাছের গায়ে খোঁড়ল করে বাসা বানায় টিয়া। গাছে চড়তে পারলে ওই ডিম নামানো কিছুই না। তবে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কাও থাকত এতে। ডিমের প্রতি সাপেরও বেজায় লোভ। বাসায় ঢুকে পাখির ডিম খেয়ে ফেলত। ওই জঙ্গলে গিয়ে নজর রাখলে এই দৃশ্য দেখাটা এমন কোনো দুর্লভ ব্যাপার ছিল না। পাখির ডিম চুরি করতে গিয়ে একদিন যে কী সাংঘাতিক বিপদে পড়েছিলাম, সেই গল্প বলি।
ঝাঁ ঝাঁ দুপুর। খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়েছেন বড়রা। হাবিব আর অলি গেছে স্কুলে। হাবিব আমার মামাতো ভাই, আর অলি খালাতো। দুজনে স্কুলে যাওয়ায় একা হয়ে পড়লাম আমি। কারণ আমার স্কুল ফেনীতে, ইব্রাহিমপুরে নয়। কিছুই করার নেই। কামরাঙাগাছের নিচে বসে রংপেনসিল দিয়ে ছবি আঁকার চেষ্টা করলাম কিছুক্ষণ। ভালো লাগল না। সময় আর কাটে না। শেষে দুত্তোর বলে উঠে পড়লাম। গুলতি নিয়ে চললাম কোণের জঙ্গলে।
অনেক বড় একটা গাছের নিচে এসে দাঁড়ালাম। কী গাছ ঠিক মনে নেই। সম্ভবত পিত্তশূলগাছ (আঞ্চলিক নাম) হবে। ওটাতে অনেকগুলো টিয়ার বাসা। উঠে পড়লাম। একটা বাসার কাছে এসে থামলাম। খোঁড়লে হাত ঢোকানোর আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার, ভেতরে সাপ-বিচ্ছু কিছু আছে কি না। গুলতির ডাঁটি দিয়ে জোরে জোরে কয়েকটা বাড়ি মারলাম খোঁড়লের সামান্য নিচে গাছের গায়ে, বাসাটা যেখানে থাকার কথা। কর্কশ চিৎকর করে বেরিয়ে গেল একটা টিয়া। তার মানে সাপটাপ নেই। হাত ঢুকিয়ে দিলাম। দুই আঙুলে আলতো করে ধরে বের করে আনলাম দুটো ডিম। হাতের তালুতে নিয়ে ভালো করে দেখলাম। তারপর আবার রেখে দিলাম বাসায়। পাখির ডিমের রং মুগ্ধ করত আমাকে।
এত তাড়াতাড়ি ফেরার ইচ্ছা নেই। গিয়ে কী করব? খেলার সাথি কেউ নেই। তার চেয়ে বরং একলাই গাছে বসে থাকি। একলা একলা এভাবে গাছে বসে থাকতে ভালো লাগত আমার। অনেক উঁচু গাছ। চারপাশের বহুদূর পর্যন্ত চোখে পড়ে।
চড়ে বসলাম ওপর দিকের একটা মোটা ডালে। তিন দিকে খেত, ফসল কাটা অনেক আগেই শেষ। ধবধবে সাদা ঢেলাজমি। মাতাল বাতাসে থেকে থেকে তাতে উড়ছে ধুলার ঘূর্ণি। পশ্চিমে নবীনগর যাওয়ার কাঁচা সড়ক। পুব আর উত্তরে বিল। সেখানে ঝাঁকিজাল আর পলো দিয়ে মাছ ধরছে কিছু লোক। বক উড়ছে মাছের লোভে। একটা-দুটো নয়, অনেক। হাজার হাজার শীতের পাখি আসত তখন ওসব অঞ্চলে। এখন আর তেমন আসে না। নানা রকমের হাঁস, বক আর অন্যান্য জলচর পাখিতে ছেয়ে থাকত বিল।
হঠাৎ আমার গাছটার কাছে কলরব করে উঠল কয়েকটা শালিক। নিশ্চয় শিয়াল দেখেছে। বেজি আর গুইসাপ দেখলেও ও রকম চেঁচায় পাখিগুলো। কারণ, ওই দুটো জীবও ডিম খায়।
নিচে তাকিয়ে দেখলাম, একটা শিয়াল। গর্ত থেকে বেরিয়ে অলস ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে খেতের দিকে।
‘হেই শিয়াল, হেই!’ বলে চেঁচিয়ে উঠলাম।
চোখের পলকে আবার গর্তে গিয়ে সেঁধল শিয়ালটা।
আবার নীরব হয়ে গেল বন। দুরন্ত বাতাসে দোলে গাছের ডাল। সেই সঙ্গে আমিও দুলি। কল্পনায় চলে গেলাম সুদূর আফ্রিকার বনে। বনের রাজা টারজান আমি। হরিণ মেরে খেয়ে বেরোলাম দুর্গম সোনার দেশের সন্ধানে। একটা বেয়াদব সিংহকে খতম করে রহস্যময় স্বর্ণনগরীতে ঢুকলাম। চাঁদের আলোয় নগরীর ছায়াঢাকা নির্জন পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি, হঠাৎ আমার দিবাস্বপ্ন ভঙ্গ করল আবার শালিকের দল। কর্কশ কণ্ঠে চেঁচাতে শুরু করল। বিরক্ত হয়ে নিচে তাকালাম শিয়াল দেখার আশায়। তার বদলে দেখলাম সাপ!
ধড়াস করে উঠল বুকের মধ্যে। হাত-পা হিম হয়ে আসার জোগাড় হলো। কালো কুচকুচে চার-পাঁচ হাত লম্বা এক গোখরা, উঠে আসছে আমি যে গাছটাতে বসেছি, সেটাতে। পাখির ডিম খেতে উঠছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওটাকে ডিঙিয়ে নামার উপায় নেই আমার। গোখরাগুলো খুব পাজি হয়। আমাকে দেখতে পেলে কামড়াতে যে আসবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
অদ্ভুত কায়দায় গাছ পেঁচিয়ে ধরে উঠেই আসছে সাপটা। লিকলিকে, চেরা, কুৎসিত জিবটা মুখের মধ্যে ঢুকছে আর বেরোচ্ছে। চারপাশ ঘিরে উড়তে উড়তে সমানে চেঁচিয়ে চলেছে শালিকের দল।
দুরুদুরু করছে বুক। কী করব? চিৎকার করে কাউকে ডাকব? কাছাকাছি কোনো মানুষই চোখে পড়ল না। যত জোরেই চেঁচাই না কেন, বাড়ি থেকে কেউ আমার ডাক শুনবে না। তা ছাড়া চিৎকার করে সাপটার দৃষ্টি আকর্ষণ করাটাও হবে বিপজ্জনক, যদিও তখন জানি না সাপ কানে শোনে না। হাতে অস্ত্র বলতে আছে আমার গুলতি। এই অস্ত্র দিয়ে এত বড় সাপের কিছুই করতে পারব না। বরং রাগিয়ে দেব। নানির মুখে শুনেছি, গোখরার নাকি ভয়ংকর রাগ। সহজে মরেও না। কেউ কিছু করলে প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত স্বস্তি নেই।
সাপের অনেক গল্প শুনেছি নানির মুখে। গোখরার একটা গল্প শুনে তো রীতিমতো কাঁপ ধরে যেত বুকের মধ্যে। একবার কে নাকি ভুল করে কোপ দিয়ে একটা সাপের মাথা কেটে ফেলেছিল। ধড় থেকে আলাদা হয়ে গিয়েও মরেনি মুণ্ডুটা। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠল। শরীর নেই, তাই চলতে পারে না। শেষে এক মরা শামুকের খোলের মধ্যে ঢুকল ওটা। গড়িয়ে গড়িয়ে গিয়ে হাজির হলো লোকটার বাড়িতে। চৌকিতে ঘুমিয়ে ছিল লোকটা। সেখানে আর উঠতে পারে না মুণ্ডুটা। তবু চেষ্টা চালাল। জেগে ছিল লোকটার বউ। বিচিত্র শব্দ শুনে কৌতূহল হলো তার। আলো জ্বেলে দেখে, একটা শামুক চৌকির পায়া বেয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। উঠতে পারছে না, গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে। স্ত্রী ডেকে তোলে তখন স্বামীকে। খোলের ভেতর থেকে মুণ্ডুটাকে বের করে থেঁতলে মেরে ফেলে লোকটা।
গাছে কোণঠাসা হয়ে বসে ভয়ংকর সেই গল্প তখন মাথায় ঘুরতে থাকল আমার। কিছুই করার সাহস হলো না। আসলে কিছু করার উপায়ও ছিল না। পাতার আড়ালে যতটা সম্ভব লুকিয়ে গিয়ে চুপ করে বসে সাপটাকে দেখতে লাগলাম।
ধীরে ধীরে উঠে এসে একটা খোঁড়লে মুখ ঢুকিয়ে দিল সাপটা। পাখিগুলো যেন পাগল হয়ে গেছে। চিৎকার করে চলেছে। যে টিয়াটার বাসা ওটা, সেটা এসে বসল বাসার কাছে। কিন্তু ঠোকর মারার আর সাহস হচ্ছে না।
দুটো ডিম খেয়ে মুখ বের করল সাপটা। আরেকটু সরে গিয়ে মুখ ঢুকিয়ে দিল আরেকটা বাসায়।
তারপর আর বেরোয় না।
অপেক্ষা করে আছি। চার-চারটে ডিম খেয়ে নিশ্চয় আরামে ঘুমিয়ে পড়েছে সাপটা। পুরো শরীর দিয়ে গাছটা পেঁচিয়ে ধরে রেখেছে। মুখটা ভেতরে। ওটাকে ডিঙিয়ে নেমে যাওয়ার কথা ভাবলাম। কিন্তু যেতে সাহস হলো না। যদি জেগে যায়? ঝট করে মুখ বের করে ফেলে? কামড়ে দেবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কামড় খেলে মাটিতে পড়ে যাব। বিষক্রিয়ায় মরার আগেই মারা পড়ব এত উঁচু থেকে পড়ে গিয়ে।
মনে মনে গালাগাল করতে লাগলাম নিজেকে। নানি বলত, ঠিক দুপুরবেলা নাকি সাপ আর শিয়ালের ঘাড়ে ভূত সওয়ার হয়। আমার তখন মনে হতে লাগল, ওই সাপটার ঘাড়েও নিশ্চয় ভূতে ভর করেছে। খানিক আগে শিয়ালও দেখেছি। আর কোনো সন্দেহ রইল না, ভুতুড়ে কাণ্ডই এটা। ভীষণ আফসোস হতে লাগল। ইশ্, কেন যে নানির কথা শুনলাম না!
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। পুকুরপাড়ে কার যেন গলা শোনা যাচ্ছে। চিৎকার করে ডাকতে গিয়েও ডাকলাম না। সাপটাকে জাগিয়ে দিয়ে বিপদে পড়তে চাই না।
বসেই রইলাম, বসেই রইলাম। পশ্চিমে ঢলল সূর্য। আমি জানি, অন্ধকার নামার আগে আমাকে খুঁজতে বেরোবে না কেউ। কাউকে কিছু না বলে কয়েক ঘণ্টার জন্য আমার উধাও হয়ে যাওয়াটা গা-সওয়া হয়ে গিয়েছিল বাড়ির সবার। ওভাবে একা একা প্রায়ই বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যেতাম যেখানে-সেখানে। কিন্তু হাবিব আর অলিও কি খুঁজতে আসবে না? ওরা নিশ্চয় এতক্ষণে স্কুল থেকে ফিরে ভাত খাওয়া শেষ করেছে।
সাপটাকে দেখে চিৎকার করছিল যে পাখিগুলো, অনেক আগেই চলে গেছে ওরা। কত আর চেঁচাবে? বাঁশের ডালে বসে কর্কশ চিৎকারে কান ঝালাপালা করছে দশ-বারোটা টিয়া। কাছেই কোনোখানে নরম গলায় শিস দিচ্ছে হরিয়াল। বিলের পাখিগুলো কেউ একা, কেউ দল বেঁধে উড়ে চলেছে রাতের আশ্রয়ের দিকে।
অন্ধকার হলে আর নামতে পারব না। আর বসে থাকা যায় না। যা করার এক্ষুনি করতে হবে। অন্ধকারে ওই ভয়ংকর সাপের সঙ্গে এক গাছে থাকা আরও বিপজ্জনক। যা থাকে কপালে, ভেবে গুলতিটা কোমরে গুঁজে আস্তে সরে এলাম আরেকটা ডালে।
ঠিক এই সময় নড়ে উঠল সাপটা। সর্বনাশ! টের পেয়ে গেল নাকি? বরফের মতো জমে গেলাম। আস্তে আস্তে মাথা বের করছে ওটা। পুরো বের করল। ওপর দিকে তাকিয়ে দোলাল কয়েকবার। জিব বের করল। তারপর ওপর দিকে উঠতে আরম্ভ করল।
দেখেই ফেলেছে বুঝি আমাকে! ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। মনে হলো অজ্ঞান হয়ে যাব। কয়েক হাত উঠেই থামল সাপটা। তারপর কী মনে করে মুখ ঘোরাল। নেমে যেতে লাগল নিচের দিকে।
ওটা চলে যাওয়ার পরও কয়েক মিনিট পাথর হয়ে বসে রইলাম। কী জানি, আবার যদি আসে? বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, বিপদ থেকে মুক্তি পেয়েছি।
এই সময় শোনা গেল অলির ডাক। আমাকে ডাকতে ডাকতে আসছে।
সে রাতে দায়ের আগায় করে কতবার যে নুন খাইয়েছিল আমাকে নানি! ভয় পেলে নাকি এ রকম খাওয়াতে হয়। তাহলে শরীরের আর কোনো ক্ষতি হয় না। আমাশয়-টামাশয় হওয়ার ভয় থাকে না।
কী জানি, নানির ওই ধন্বন্তরি ওষুধের গুণেই হয়তো আমাশয় থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম সেবার। কিছু হয়নি আমার। এরপর বহুদিন আর কোণের জঙ্গল মাড়াইনি।