ব্যাঙটা কানে শুনতে পেত না

কিশোর আলোর অক্টোবর সংখ্যার প্রচ্ছদ
অলংকরণ: রাজীব

একদল ব্যাঙ বনের মধ্যে লাফাচ্ছে। পাশে একটা গর্ত ছিল। দুটো ব্যাঙ গর্তে পড়ে গেল। ব্যাঙ দুটো লাফ দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। ওপরের ব্যাঙগুলো চেঁচাচ্ছে, ‘লাফ দিস না। অনেক উঁচু। পারবি না। বরং ক্লান্ত হয়ে মরে পড়ে থাকবি।’

একটা ব্যাঙ ওপরের সঙ্গীদের কথা শুনতে পেল। আরেকটা ব্যাঙ ছিল বধির। সে কোনো কথাই শুনতে পেল না।

যে ব্যাঙ কথাটা শুনতে পেল, সে বন্ধুদের উপদেশ অমান্য করে লাফাতে লাগল। সে উঠতে পারল না এবং ক্লান্ত হয়ে মারা গেল।

আর যে ব্যাঙ কথাটা শুনতে পেল না, সে একবার প্রচণ্ড জোরে লাফ দিয়ে ওপরে উঠে গেল।

ওপরে উঠে সে বলল, ‘বন্ধুরা, তোমাদের ধন্যবাদ। তোমরা আমাকে অনেক উৎসাহ দিচ্ছিলে। তোমাদের উৎসাহেই আমি আজ এখানে উঠতে পারলাম। আমি কানে শুনি না, তাই জানি না তোমার ঠিক কী কী বলে আমাকে সমর্থন দিচ্ছিলে, সাহস দিচ্ছিলে। কিন্তু কানে না শুনলেও আমি মুখে বলতে পারি, তাই তোমাদের বলছি, ধন্যবাদ।’

ইন্টারনেটে ইংরেজিতে এই গল্প পড়লাম। আমার ভালো লাগল। আমরা অনেক সময় ‘তুমি পারবে না’, ‘তোর দ্বারা হবে না’—এই সব বলে বলে অন্যের মনোবল ভেঙে ফেলি। তার বদলে যদি বলি, চেষ্টা করো, সবচেয়ে সুন্দরভাবে চেষ্টা করো, নিশ্চয়ই পারবে, তাহলে হয়তো যাকে বলছি, সে সত্যি সফল হবে।

কাজেই উৎসাহ দিতে হবে। ইতিবাচক হতে হবে। নেতিবাচক মানুষ বেশির ভাগ সময় অন্যের ক্ষতিই করে থাকেন। ইতিবাচক মানুষেরা নিজেরা শান্তিতে থাকেন, অন্যদেরও উপকারের কারণ হতে পারেন।

সবাই ভালো থেকো।