‘আমার দেহখান’ গানটির গীতিকার কি বেঁচে আছেন? শেষমেশ তাঁর কী পরিণতি হয়েছিল?
ব্যান্ড ‘অড সিগনেচার’-এর কাছে জানতে চাইল এক পাঠক। উপস্থিত সবার মধ্যে তখন চাপা আগ্রহ। উত্তর জানতে উদ্গ্রীব সবাই। তাই যেন নেমে এল অদ্ভুত নীরবতা।
অথচ কিছুক্ষণ আগেও দৃশ্যপট ছিল একদমই ভিন্ন। প্রথমবারের মতো কিআড্ডায় অংশ নেওয়া নতুন মুখের সংখ্যা এবার ছিল একটু বেশি। ফলে তাদের বিস্ময়ের সঙ্গে পুরোনো পাঠকদের স্বতঃস্ফূর্ততার মিশেলে সভা ছিল জমজমাট।
সভার শুরুতেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন সহকারী সম্পাদক পাভেল মহিতুল আলম, ‘আলু নাকি আলোকচিত্র, তুমি কিসের অনুরাগী?’ অদ্ভুত এই প্রশ্নের কারণ, সেদিন বিশ্বজুড়ে উদ্যাপিত হচ্ছিল আলু এবং আলোকচিত্র দিবস। দেখা গেল, উভয়েরই ভক্ত উপস্থিত। তবে কিশোর আলো ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবের সুবাদে আলোকচিত্র এগিয়ে গেল ১-০ গোলে। সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকা পাভেল মহিতুল আলম জানালেন, ক্লাবের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। আগ্রহীরা যেন অর্ণবের গানের মতো ‘বাতি জ্বেলে সতর্ক’ থাকে।
অক্টোবর আসতে বেশি দেরি নেই। ১ অক্টোবর কিআর জন্মদিন। কিআর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হওয়ায় এবারের অক্টোবর একটু বেশিই স্পেশাল। তাই কেমন আয়োজন হওয়া উচিত, তা নিয়ে মতামত জানায় প্রত্যেকে।
আলোচনা হলো কিশোর আলোর আগস্ট সংখ্যা নিয়েও। প্রচ্ছদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করল কয়েকজন। কেউ কেউ আপত্তি তুলল সামাজিক বিজ্ঞান ঘরানার ফিচার নিয়ে। সম্পাদক আনিসুল হক তখন মনে করিয়ে দিলেন স্থপতি এফ আর খানের উক্তি। তাগিদ দিলেন, ‘তুমি জীবনে যা-ই হতে চাও না কেন; তোমাকে শিল্প, নাটক, সংগীত এবং মানুষ সম্পর্কে জানতে হবে।’ তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন প্রথম আলো ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও ইস্পাহানি গ্রুপের পরিচালক জাহিদা ইস্পাহানি। শিশু–কিশোরদের আবৃত্তি ও গান শুনে তিনি জানালেন মুগ্ধতা।
আলাপ চলল অ্যাডভেঞ্চার, ভাষা শেখাসহ আরও নানান বিষয় নিয়ে। হলো কুইজও। ব্যান্ড ‘অড সিগনেচার’ ততক্ষণে হাজির। শোনাল ‘তুমিও পারো’, ‘প্রস্তাব’, ‘ঘুম’-এর মতো দারুণ সব গান। সবাই গলা মেলানোয় সভাকক্ষ তখন মুখর। আর এমন সময়ই ওঠে ‘আমার দেহখান’-এর প্রসঙ্গ।
উত্তরের বদলে ব্যান্ডটির ভোকালের তরফ থেকে এল পাল্টা প্রশ্ন—
‘গানটি কে লিখেছে জানেন?’
‘মুন্তাসির রাকিব।’
‘আর আমার নাম?’
‘মুন্তাসি...’
‘ঠিক ধরেছেন। আমিই মুন্তাসির রাকিব। আমি কিন্তু বেঁচে আছি। অ্যালবামের বাকি গানগুলো মুক্তি পেলে পুরো গল্প স্পষ্ট হবে।’
ফেরার সময় হয়েছে ততক্ষণে। সেভয়ের আইসক্রিম হাতে বাড়ির পথ ধরল সবাই। সঙ্গী হলো ১৯ আগস্টের কিআড্ডার স্মৃতি।