কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে, কিন্তু কীভাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। আমাদের অনেকের মুঠোফোনেই অ্যাপ নামানো আছে। যেমন চ্যাটজিপিটি। আইফোনের সিরিও আসলে এআই।

এআই এখন ই-মেইল লিখে দিচ্ছে, রচনা লিখছে, বক্তৃতা লিখে দিচ্ছে, ছবি এঁকে দিচ্ছে, গান লিখছে, সুর করছে, গেয়েও দিচ্ছে। আরও কত–কী যে করছে।

তুমি ইংরেজিতে কথোপকথন করতে চাও, একটা অ্যাপ নামিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে পারো।

এআই ভবিষ্যতে মানুষের চাকরি খাবে কি না, কবি-সাহিত্যিকদের বেকার বানাবে কি না, শিল্পী বা অভিনেতার আদৌ আর দরকার পড়বে কি না, এসব নিয়ে মানুষের দুর্ভাবনার শেষ নেই।

এমনকি এআইয়ের উদ্ভাবক বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এআই ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষতি করতে পারে। এআই নিজে নিজে প্রোগ্রাম লিখে নিজেকে মানুষের চেয়েও শক্তিশালী বানিয়ে মানুষকে নাকি ধ্বংসও করতে পারে। এসবই ভবিষ্যতের ভাবনা।

কিন্তু নিউ সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিন বলছে, বর্তমানে এআই ক্ষতি করছে মানুষের স্বাস্থ্যের। আর সেই ক্ষতি দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে!

কী করে

এআই চালানোর জন্য কোম্পানিগুলোকে বিশাল বিশাল ডেটা সেন্টার বানাতে হয়েছে। আর সেসব চালু রাখতে দরকার হচ্ছে অনেক বিদ্যুৎ। সেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি তেল কিংবা কয়লা পোড়াতে হচ্ছে। এতে বাতাস দূষিত হচ্ছে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৬ লাখ অ্যাজমা রোগী বাড়বে এবং প্রতিবছর ১ হাজার ৩০০ লোক অকালে মারা যাবে এআইয়ের কারণে সৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি থেকে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাওলি রেন ও তাঁর দল এ নিয়ে গবেষণা করছে।

যদিও এআই কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে, তবে বর্তমানে তারা ক্ষতিকর জ্বালানির ওপরই নির্ভর করছে।