আমি যখন বেশ ছোট ছিলাম, তখন বুঝতাম না যে ডায়েরিতে আসলে কী লিখতে হয়। আর এতে এত তারিখই-বা দেওয়া থাকে কেন? কিন্তু এখন আমি বুঝতে পারি ডায়েরি কেমন বস্তু। ডায়েরিটাই এমন একটা বস্তু, যাতে মনের না বলা কথা ভাগাভাগি করা যায়। যদিও ডায়েরি নিষ্ক্রিয় বন্ধুর মতো মুখে ঠুলি দিয়ে রেখে কোনো মন্তব্য করে না। আমি গত বছর একটা পকেট ডায়েরি পুরস্কার পেয়েছিলাম। আর তখনই ঠিক করি যে আমার এই পকেট ডায়েরিতে পৃথিবীর বাস্তব দুটি রং পাশাপাশি থাকবে। এক রঙে থাকবে আমার চারপাশে ঘটে যাওয়া সব আনন্দময় ঘটনার বর্ণনা। আরেক রঙে থাকবে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া নানা নিষ্ঠুর নির্মমতার কথা। বিচিত্র সব হাসি-কান্নার অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষ করে আমি ডায়েরিতে লিখেছি। তাই প্রায় এক বছরেই এর প্রতিটি পাতা ভরে গেছে। তবে শেষ যে পাতা বাকি আছে, তাতেই লিখছি আজ কিআর কাছে। আমার ডায়েরিটা যদি ‘হ্যারি পটার’ গল্পের কাল্পনিক ডায়েরির মতো কথা বলতে পারত, তবে সে অবশ্যই একটা ধন্যবাদ দিত আমাকে। কেননা পৃথিবীতে মানুষের অভাব নেই, তারপরও এতগুলো ঘটনার সঙ্গে আমি শুধু তাকেই সাক্ষী রেখেছি।