ত্রিদেশীয় সিরিজ চলছে তখন। সংবাদ সম্মেলন ছাড়া খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলাই কঠিন। এর মধ্যেই কয়েক মিনিটের একটা সুযোগ মিলল। সঙ্গে সঙ্গে প্রিয় বইয়ের কথা জানতে চাইলাম মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের ভাবনাজুড়ে তখন ত্রিদেশীয় সিরিজ। তবু বললেন, ‘এখন তো বই পড়ার সময়ই পাই না!’
কেন, সেটি বুঝতেই পারছ। যখন খেলা থাকে, ম্যাচ-অনুশীলন এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। যখন খেলা থাকে না, তখন ব্যক্তিগত কাজ, বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম, এনডোর্সমেন্ট—কত ব্যস্ততা। ক্রিকেট আর ব্যক্তিগত জীবনের নানা ব্যস্ততায় ক্রিকেটাররা সময় পান খুব কম। তবে ম্যাশ জানালেন বড় ছুটিতে তারও সঙ্গী ছিল বই। ‘চোটে পড়ার পর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০০১ সালে ভারতে গিয়েছিলাম। তখন সঙ্গে করে হুমায়ূন আহমেদের কিছু বই নিয়ে গিয়েছিলাম। সময় কাটবে কী করে, এ ভাবনা থেকে কিছু গল্প-উপন্যাসের বই নেওয়া।’
তবে পড়ার অভ্যাসটা এখনও আছে মাশরাফির। যে কাউকে মুগ্ধ করবে তাঁর পাঠাভ্যাস। একটু সময় পেলেই পত্রিকা পড়েন, ক্রিকেটের ওয়েবসাইটগুলো ঘেঁটে দেখেন। ‘ক্রিকেটবিষয়ক লেখাই পড়া হয় বেশি। সময় পেলে ক্রিকেটের ওয়েবসাইটগুলো দেখি। কিংবদন্তি খেলোয়াড়েরা নিজেদের কীভাবে এগিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে যে নিবন্ধ-প্রবন্ধগুলো বের হয়, সেগুলো পড়ি। পত্রিকা পড়াটা অবশ্য নির্ভর করে আমার অবসর সময়ের ওপর।’—গত ২৬ জানুয়ারি বিসিবি একাডেমি ভবনের দিকে হাঁটতে হাঁটতে বলছিলেন মাশরাফি।
ভালো পাঠাভ্যাস আছে বলেই হয়তো মাশরাফি গুছিয়ে কথা বলতে পারেন। নানা বিষয়ে তাঁর বিস্তর জানাশোনা, ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণগুলোও ক্ষুরধার। ব্যতিক্রম তাঁর জীবনদর্শন।