ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ: ম্যাচউইক ১৬
ক্রিসমাসের আগেই লাল ম্যানচেস্টার, বরখাস্ত উলভস-সাউদাম্পটন কোচ
প্রিমিয়ার লিগের ১৬তম সপ্তাহে এসে দেখা মিলল দুটি বরখাস্ত পত্রের। সবার নজর যখন ম্যানচেস্টারে, তখন চোখের আড়ালে বরখাস্ত হয়েছেন উলভস এবং সাউদাম্পটনের কোচ। সব মিলিয়ে কেমন ছিল প্রিমিয়ার লিগের ১৬তম সপ্তাহ? দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
আর্সেনাল ০-০ এভারটন
ধরি ধরি করেও যেন ধরা হচ্ছে না আর্সেনালের। যখনই লিগের শীর্ষে ওঠার সিঁড়ি আপনা থেকেই সামনে আসে, তখনই যেন হোঁচট খেয়ে নিজেদের সুযোগ নিজেরাই হেলায় হারায়। গত সপ্তাহের ম্যাচটা ঠিক সে রকমই একটা ম্যাচ। এভারটনের বিপক্ষে হেসেখেলে জেতার কথা আর্সেনালের। অথচ গোলশূন্য ড্র করে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারল নিজেরাই। পরপর টানা দুই সপ্তাহে হোঁচট খেয়ে লিগের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল। অন্যদিকে প্রায় দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে মাঠে ফিরে নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিল এভারটন। আর্সেনালের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা, সেট পিসে বিন্দুমাত্র জায়গা দেয়নি এভারটন। সেই গোলকধাঁধা থেকে আর বের হতে পারেনি গানার্সরা। নিজেদের মাটিতে ড্র নিয়ে থাকতে হয়েছে সন্তুষ্ট।
লিভারপুল ২-২ ফুলহাম
লিভারপুল: কোডি গাকপো ৪৭’, দিয়োগো জোতা ৮৬’
ফুলহাম: আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ১১’, রদ্রিগো মুনিজ ৭৬’
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিভারপুল এভাবে পা হড়কাবে, এমনটা অভাবনীয় ছিল। ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহাম্মদ সালাহ আর জোরালো ডিফেন্সে ভর করে বলতে গেলে আকাশে উড়ছিল অল রেডরা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘দারাঘ’-এর কারণে এক বিরতি যেন থমকে দিয়েছে লিভারপুলকে। নিউক্যাসলের বিপক্ষে কষ্টার্জিত ড্রয়ের পর ফুলহামের বিপক্ষেও ড্রয়ের মুখ দেখেছে তারা। ম্যাচের ১৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার অ্যান্ডি রবার্টসন। সে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে মার্কো সিলভার দল। প্রথম আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও পরে রদ্রিগো মুনিজের গোলে দুবার লিড পায় ফুলহাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। দিয়োগো জোতার গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারাল লিভারপুল। ১ ম্যাচ হাতে রেখে তারা এগিয়ে আছে মাত্র ২ পয়েন্টে!
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ৪-০ লেস্টার সিটি
নিউক্যাসেল: জ্যাকব মার্ফি ৩০’, ৬০’, ব্রুনো গুইমারেস ৪৭’, আলেকজেন্দার ইসাক ৫০’
নিস্টারলয়ের জয়রথ অবশেষে থামল বলে। লেস্টারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছিল ফক্সরা। বিশেষ করে অধিনায়ক জেমি ভার্দির অসাধারণ ফর্মে ভর করে বিশাল জয়ের পর শেষ মুহূর্তের ড্র বের করে এনেছিল তারা। সেই যাত্রা থামল নিউক্যাসেলের সামনে এসে। ঘরের মাটিতে লেস্টারকে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেল ম্যাগপাইরা। চোটের কারণে দলে ছিলেন না উইলফ্রেড এনদিদি। তার অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে লেস্টার। মাঝমাঠে হামজা চৌধুরী খুব একটা সাহায্য করতে পারেননি দলকে। নিক পোপের চোটে নিউক্যাসেলের গোলবারের নিচে ছিলেন মার্তিন দুবরাভাবকা। তাঁকে অবশ্য খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি জেমি ভার্দিরা।
উলভস ১-২ ইপ্সউইচ টাউন
উলভস: ম্যাথিয়াস কুনহা ৭২’
ইপ্সউইচ: ম্যাট ডোহার্টি ১৫’ (আত্মঘাতী গোল), জ্যাক টেইলর ৯০+৪’
এত দিন হবে হবে করতে করতে অবশেষে হয়েই গেল। মৌসুমের শুরু থেকেই কোচ গ্যারি ও’নেইলের প্রতি রুষ্ট ছিলেন সমর্থকেরা। ফলাফলও খুব একটা খুশি করতে পারছিল না তাদের। ভালো খেলেও দিনের পর দিন পরাজয় নিয়ে নেকড়েরা ঘুরপাক খাচ্ছিল অবনমনের সারিতে। বরখাস্তের চিঠিতে স্বাক্ষর করার জন্য শেষ একটা ধাক্কা দরকার ছিল। সেটা এল অবনমনের সারিতে ঘুরতে থাকা আরেক দল ইপসউইচ টাউনের কাছ থেকে। হারের পরপরই বিদায়ের পত্র ধরিয়ে দিয়েছে উলভস বোর্ড। উলভসের হারের পেছনে অবশ্য তাদের ডিফেন্ডারদের দোষই বেশি। চ্যাপলিনের নেওয়া শট দুই ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রবেশ করে জালে। প্রথমে এগিয়ে যায় ইপসউইচ। ৭২ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে দলকে সমতায় ফেরান ম্যাথিয়াস কুনহা। শেষ মিনিটে কর্নার থেকে দলকে জয়ের সীমানায় নিয়ে যান জ্যাক টেইলর। ম্যাচ শেষে ইপসউইচ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন উলভসের কুনহা ও রায়ান আইত-নুরি। হাতাহাতি করে লাল কার্ডও দেখেন আইত-নুরি।
নটিংহাম ফরেস্ট ২-১ অ্যাস্টন ভিলা
নটিংহাম: নিকোলা মিলেঙ্কোভিচ ৮৭’, অ্যান্থনি এলেঙ্গা ৯০+৩’
ভিলা: জন ডুরান ৬৩’
চ্যাম্পিয়নস লিগের দৌড়ে প্রথম হাসিটা হেসে নিল নটিংহাম ফরেস্ট। ৬ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল অ্যাস্টন ভিলার রক্ষণ। টানা ৩ জয়ের পর আবারও হারের দেখা পেল উনাই এমেরির শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকে আলো ছড়িয়েছে অ্যাস্টন ভিলা, বড় একটা সময় ধরে ম্যাচের আধিপত্যও ছিল তাদের কাছে। জন ডুরানের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভিলা। কিন্তু ৬ মিনিটের ঝড়ে সব স্বপ্ন ভেঙে যায় তাদের। প্রথমে দলকে সমতায় ফেরান নিকোলা মিলেঙ্কোভিচ। অতিরিক্ত সময়ে দলকে এগিয়ে নেন অ্যান্টনি এলেঙ্গা। তার জয়সূচক গোলে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিয়েছে নটিংহাম ফরেস্ট।
ব্রাইটন ১-৩ ক্রিস্টাল প্যালেস
ব্রাইটন: মার্ক গুয়েহি ৮৭’ (আত্মঘাতী গোল)
ক্রিস্টাল: ট্রেভ চ্যালোবা ২৭’, ইসমাইলা সার ৩৩’, ৮২’
একটা সময় চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্ন ছিল ব্রাইটনের চোখে-মুখে। অথচ যত দিন গড়াচ্ছে, সে স্বপ্ন ফিকে হতে চলেছে তাদের জন্য। অবনমনের সারিতে ঘুরপাক খাওয়া ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে বিশাল পরাজয় যেন তাদের পিছিয়ে দিল আরও কয়েক ধাপ। বিশাল জয়ে অবনমনের সারি থেকে অনেকটা দূরে সরে এসেছে ক্রিস্টাল। শুরু থেকে ম্যাচে দখল ছিল ব্রাইটনের। কিন্তু আক্রমণে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল তারা। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে প্যালেস। বিশেষ করে ইসমাইলা সার। ২ গোল আর এক এসিস্টে করে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের ঠিকানায়। শেষ মুহূর্তে ব্রাইটনের একমাত্র গোলটাও এসেছে আত্মঘাতী গোলে। ব্রাইটন হেরে অবশ্য একটি অদ্ভুত রেকর্ড গড়েছে। তাদের ১৮০ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ শেষে তাদের জয়–পরাজয় আর ড্রয়ের পরিমাণ বরাবর সমান ৬০টি।
ম্যানচেস্টার সিটি ১-২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
সিটি: জ্যাস্কো গার্ভিদল ৩৬’
ইউনাইটেড: ব্রুনো ফার্নান্দেস ৮৮’ (পেনাল্টি), আমাদ দিয়ালো ৯০’
কথায় আছে, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। পেপ গার্দিওলার ক্ষেত্রেও যেন কথাটা সত্য। যে রুবেন আমোরিমের কাছে এক মাস আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে হেরেছেন, ঠিক এবার নিজের লিগেও কিনা হারলেন। নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া কাটা কপালে দেখা মিলল আরেকটি হারের। আমোরিম অবশ্য ম্যাচের জন্য একটু ভিন্ন কিছু মাথায় রেখেছিলেন। ম্যাচের স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলেছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড আর আলেহান্দ্রো গার্নাচোকে। আক্রমণভাগে মূল দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেস আর আমাদ দিয়ালোর হাতে। তার পরিকল্পনায় যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন দুজনে। ম্যাচের ১৪ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাসন মাউন্ট। কোবি মাইনু সে জায়গাটা সামলেছেন ভালোমতো। শুরুতে অবশ্য গ্যাভার্দিওলের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সিটি। সেই লিড ধরে রেখেছিল ৮৭ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু ৮৭ মিনিটে ম্যাথিয়াস নুনেজের ভুলে পেনাল্টি লাভ করে ইউনাইটেড। সেখান থেকে দলকে সমতায় ফেরান ব্রুনো। গোলের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন আমাদ দিয়ালো। লিসান্দ্রো মার্তিনেজের অসাধারণ এক পাস থেকে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে দলকে লিড এনে দেন দিয়ালো। আর সেটা হয়ে যায় সিটির কফিনে শেষ পেরেক। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পর এবারই প্রথম কোনো কোচ হিসেবে সিটির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতলেন আমোরিম। আর এই হার দিয়ে শেষ ১১ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে হারের দেখা পেল সিটি। সঙ্গে নেমে গেল লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে।
চেলসি ২-১ ব্রেন্টফোর্ড
চেলসি: মার্ক কুকুরেলা ৪৩’, নিকলাস জ্যাকসন ৮০’
ব্রেন্টফোর্ড: ব্রায়ান এমবুয়েমো ৯০’
গত সপ্তাহে টটেনহামের বিপক্ষে হাসির পাত্র হয়েছিলেন মার্ক কুকুরেলা। ১০ মিনিটের মধ্যে দুবার স্লিপ কেটেছিলেন মাঠে। টটেনহামের ২ গোলের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদানও ছিল তাঁর। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সব আলো কেড়ে নিয়েছেন তিনি। ম্যাচজুড়ে সব আলো ছিল কুকুরেলার দিকেই। ৪৩ মিনিটে অসাধারণ এক হেড থেকে দলকে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ৮০ মিনিটে তা দ্বিগুণ করেন নিকলাস জ্যাকসন। শেষ মুহূর্তে এমবুয়েমো গোল করলেও তা শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর কেভিন শারদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কুকুরেলা। যার সুবাদে তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখান রেফারি। এই জয় দিয়ে অবশেষে ‘ব্রেন্টফোর্ড-জুজু’ কাটল চেলসির। গত ৫ দেখায় তাদের ছিল না কোনো জয়। এই জয় দিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করলেন এনজো মারেসকা। লিভারপুল থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট নিচে অবস্থান চেলসির।
সাউদাম্পটন ০-৫ টটেনহাম হটস্পার্স
স্পার্স: জেমস ম্যাডিসন ১’, ৪৫+৫’, সন হিউয়েন মিন ১২’, দেহান কুলুসেভস্কি ১৪’, পোপ সার ২৫’
অবশেষে জয়ের দেখা মিলল টটেনহাম শিবিরে। হার আর ড্রয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া টটেনহাম অবশেষে ফর্মে ফিরল জেমস ম্যাডিসনের অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে। টেবিলের তলানিতে থাকা সাউদাম্পটনকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আবারও জয়ের সুবাতাস পেলেন কোচ আগ্নে পোস্তেকোগলু। এ ম্যাচের শুরু থেকে ছড়ি চালানো শুরু করে টটেনহাম। ২৫ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় ৪ গোলে। একটা সময় মনে হচ্ছিল, গোলের সংখ্যা হয়তো দুই অঙ্কে পৌঁছে যাবে। কিন্তু প্রথমার্ধের ৫ গোলের পর আর আগায়নি স্কোর। দলের খেলায় বিরক্ত হয়ে প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার আগেই মাঠ ত্যাগ করেন সাউদাম্পটন কোচ রাসেল মার্টিন। চাকরিটা যে নেই, তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন তখনই। ম্যাচ শেষে সেই আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করেছে সাউদাম্পটন বোর্ড। দেখা যাক নতুন কোচের অধীনে ভাগ্যের চাকা ঘোরে কি না, তাদের।
বোর্নমাউথ বনাম ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড
বোর্নমাউথ: ইনেস উনাল ৯০’
ওয়েস্ট হাম: লুকাস পাকেতা ৮৭’ (পেনাল্টি)
বোর্নমাউথ যেন হারতে ভুলে গিয়েছে। গত ৯ ম্যাচে তাদের হার মাত্র একটিতে। যত কঠিন প্রতিপক্ষ হোক না কেন, ম্যাচ বের করে আনতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। কোচ আন্দোনি ইরাওলার অধীনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে তারা। অন্যদিকে লোপেতেগির ওয়েস্ট হাম আস্তে আস্তে ফর্মে ফিরছিল, এমন সময় এই ড্র অনেকটা পিছিয়ে দেবে তাদের। তবে ম্যাচের সব ঘটনা ঘটেছে শেষ মুহূর্তে। প্রায় ৪ মিনিট ভিএআর চেক করার পর ওয়েস্ট হামের পক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন লুকাস পাকেতা। কিন্তু তার ঠিক দুই মিনিট পর ফ্রি–কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোলে বোর্নমাউথের এক পয়েন্ট নিশ্চিত করেন ইনেস উনাল।