আইপিএলে নজর কাড়ছেন যাঁরা
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ফেরিওয়ালারা খুঁটি গেড়েছে ভারতে, আইপিএলের দামামা বেজেছে কয়েক সপ্তাহ হলো। আর প্রতিটি আইপিএলেই কোনো না কোনো তরুণ তারকা নজর কেড়ে নেন পুরো বিশ্বের। দুই সপ্তাহের লড়াই শেষে কারা কারা নজর কাড়লেন, কারা আছেন তালিকায়; তাঁদের নিয়েই আজকের লেখা।
আশুতোষ শর্মা | দল: দিল্লি ক্যাপিটালস
আশুতোষের অভিষেক হয়েছিল পাঞ্জাবের জার্সিতে, গত বছর। স্ট্রাইক রেট দেখে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকায় তাঁকে দলে ভেড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত এক ইনিংস দিয়ে পয়সা যেন উশুল করে নিয়েছেন তিনি। ৬৬ রানে ৫ উইকেটের পতন, টার্গেট ২১০ রান। এমন অবস্থা থেকে দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন জয়ের বন্দরে। ৩১ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে ছিল না কোনো খুঁত। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে প্রথম ম্যাচ থেকে জয় তুলে নিয়ে যায় দিল্লি।
অনিকেত ভর্মা | দল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
যেখানে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল হায়দরাবাদ, সেখান থেকেই যেন নতুন করে মৌসুম শুরু করেছে তারা। ব্যাটিং শক্তিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে সানরাইজার্স। সেখানে যুক্ত হয়েছেন আরেক তরুণ, অনিকেত ভর্মা। গত বছর টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া অনিকেত প্রথম তিন ম্যাচে রান করেছেন ১১৭। এর মধ্যে রয়েছে ৪১ বলে ৭৪ আর ১৩ বলে ৩৬ রানের দুটি মারমুখী ইনিংস। হায়দরাবাদের মিডল অর্ডারকে আরও বিধ্বংসী করেছেন ভর্মা। যদিও তার দূর্দান্ত পারফরম্যান্সকে দলগত পারফরম্যান্সে পরিণত করতে পারছে না সানরাইজার্স।
দিগবেশ রাঠি| দল: লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
বোলিং দিয়ে ডিগবেশ রাঠি যতটা না জনপ্রিয় হয়েছেন তার থেকে বেশি হয়েছেন দূর্দান্ত উদযাপন দিয়ে। উইকেট পাওয়ার পরই হাতে নাম লেখা শুরু করেন, যেন নিজ হাতে ‘ডেথ নোট’ লিখছেন। উদযাপনের জন্য জরিমানাও হয়েছে, তবুও থামেননি। ডানহাতি লেগব্রেক বোলার খোদ সুনীল নারিনের উইকেট নিয়েও নাক লিখেছেন মাটিতে। অথচ তাকে আইডল মেনে বড় হয়েছেন তিনি। ৩০ লাখ রূপিতে লক্ষ্ণৌতে যোগ দেওয়া রাঠি ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ২৫ বছর বয়সী রাঠির অভিষেক হয়েছে গত বছর। বোলিংয়ের বৈচিত্র্য দিয়ে নজর কেড়েছেন এই তরুণ।
এ তো গেল মাঠে সুযোগ পাওয়া তরুণ তারকাদের কথা, কিন্তু এখনো খেলার সুযোগ না পাওয়া কয়েকজন তারকা আছেন লাইমলাইটে। তাঁদের দেখার জন্য উৎসুক জনতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত। এর মধ্যে সবার ওপরে আছেন ১৪ বছর বয়সী ব্যাটার ভৈভব সূর্যবংশী। এ ছাড়া সূর্যাংশ শেজ (দলে থাকলেও ব্যাটিং বোলিং কিছু করার সুযোগ পাননি), মুশীর খান, স্বস্তিক চিকারার মতো খেলোয়াড়দের এখনো দেখা বাকি। মাঠে সুযোগ পেলেই বলা যাবে লম্বা রেসের ঘোড়া হবেন তাঁরা? নাকি হারিয়ে যাবেন কালের গহ্বরে?