ইউরোতে নজর কাড়লেন যে তরুণেরা

অবসরের দ্বারপ্রান্তে থাকা টনি ক্রুস, হার না মানা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সদ্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে-হেভিওয়েট তারকাদের ভিড় ছিল এবারের ইউরোতে। কিন্তু ৫০ ম্যাচ শেষে এবারের ইউরোর সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তরুণ তারকারা। ইউরোর প্রতিটি ম্যাচেই দেখা মিলেছে তরুণ তারকাদের স্ফুলিঙ্গ। অনেকেই এসেছিলেন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে। এবারের ইউরোতে নজরকাড়া তরুণদের নিয়েই আজকের লেখা।

অধিনায়ক হিসেবে ইউরো ট্রফি হাতে তুলেছেন আলভারো মোরাতাএএফপি

লামিন ইয়ামাল - স্পেন

ইউরোর ফাইনালে লামিনে ইয়ামাল, বার্লিনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে
এএফপি

লামিন ইয়ামালকে নিয়ে যতই বলা হবে, ততই যেন কম হয়ে যাবে। ১৬ বছর বয়সী এই তারকা শুধু স্পেন নয়, যেন পুরো ফুটবলের ভবিষ্যৎ। হাইস্কুলের চৌকাঠ না পেরোনো লামিন ছিলেন স্পেনের মূল ভরসা। গোল করা, গোল করানো সবকিছুতেই পরিণত এই ফুটবলার। গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দানি কার্ভাহালের পাস থেকে করা গোল কিংবা সেমি ফাইনালে ডিবক্সের বাইরে থেকে করা গোল দর্শকদের চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। বড় বড় তারকার সঙ্গে লড়াই করে হয়েছেন ইউরোর সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা। ২ গোল আর ৩ অ্যাসিস্ট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা তারকার পুরস্কার পেলেও অবাক হতেন না কেউ। তবে তর্কাতীতভাবে টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ তারকার পুরস্কারটা উঠেছে তাঁর হাতেই।

কোবি মাইনু - ইংল্যান্ড

কোবি মাইনু

ইংল্যান্ডের মাঝমাঠে এত এত তারকার ভিড়ে কোবি মাইনু নামটা হারিয়ে যাওয়ারই কথা। গ্রুপ পর্বে সেটাই হয়েছিল, তিন ম্যাচে খেলার সুযোগ মিলেছিল মাত্র ৪৯ মিনিট। কিন্তু সেটুকুই যথেষ্ট ছিল কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের মন পরিবর্তন করতে। নক আউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচের স্টার্টিং লাইনআপে ছিলেন এই ১৯ বছর বয়সী তারকা। গোল অ্যাসিস্ট না পেলেও মাঝমাঠ দখলে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

আর্দা গুলার - তুরস্ক

তুরস্কের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আর্দা গুলের
ছবি : ইনস্টাগ্রাম

এবারের ইউরোতে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে হাজির হয়েছিল তুরস্ক। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা তুরস্কের মাঝমাঠের মূল চালিকা শক্তি ছিলেন ১৮ বছর বয়সী রিয়াল মাদ্রিদ তারকা আর্দা গুলের। গত মৌসুমের শুরুতেই বার্সাকে না করে রিয়ালে যোগ দেন আর্দা, সেই থেকে সবার নজর তাঁর দিকে। ক্লাবের পর জাতীয় দলের জার্সিতেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন আর্দা। প্রথম ম্যাচেই জর্জিয়ার বিপক্ষে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক গোল করে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেন বিশ্বের সামনে। টুর্নামেন্টজুড়ে গুলার প্রভাব বিস্তার করে গিয়েছেন তুরস্কের মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগে।

ফ্রান্সিসকো কনসিকাও - পর্তুগাল

ফ্রান্সিসকো কনসিকাও

নিজের শেষ ইউরো রাঙিয়ে রাখার কথা ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু পর্তুগালের ইউরো রঙিন হয়ে রইল আরেক পর্তুগিজ স্ট্রাইকারের জন্য। ২১ বছর বয়সী কনসিকাও এখন পর্তুগাল আক্রমণভাগের ভবিষ্যৎ। বাবা সার্জিও কনসিকাও ছিলেন খেলোয়াড়, খেলেছেন রোনালদোর সঙ্গেও। এখন কোচ হিসেবে আছেন পোর্তোতে। বাবার অধীনেই সেখানে খেলছেন কনসিকাও, আর জাতীয় দলে এসে ছাড়াচ্ছেন আলো। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের দৌড় থেমে যাওয়ার আগে পর্তুগালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন কনসিকাও। প্রথম ম্যাচে চেৎজিয়ার বিপক্ষে তাঁর শেষ মিনিটের গোল জয় নিশ্চিত করে পর্তুগালের। যে গোলের ওপর ভর করেই নক আউট পর্বের টিকিট কেটেছে পর্তুগিজরা।

আরও পড়ুন