মেসির বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের মেসি

আর্জেন্টাইনদের ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে মেসির জাদুকরি পায়ে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা কাতারে ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা দূর করার পথে নিজের করে নিয়েছেন অনেক রেকর্ডও।

প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একাধিকবার গোল্ডেন বল জিতলেন মেসি। এবারের আগে ২০১৪ সালেও সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল পেলেন মেসি।
একাধিক ম্যাচ খেলেছেন এমন প্রতিটি টুর্নামেন্টেই শিরোপা জিতেছেন মেসি। খেলেছেন এমন টুর্নামেন্টের মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ কাপই জিততে পারেননি তিনি। ফ্রেঞ্চ কাপে শুধু একটি ম্যাচই খেলেছেন মেসি।
১৯৬৬ সাল থেকে হিসাব রাখা শুরু করার পর মাত্র দুজন খেলোয়াড় এক বিশ্বকাপে ৫টির বেশি গোল ও ২০টির বেশি সুযোগ তৈরি করেছেন—২০২২ সালে মেসি ও ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা।
১৩ গোল , ৮ অ্যাসিস্ট। ১৯৬৬ সাল থেকে হিসাব রাখা শুরু করার পর বিশ্বকাপে গোল ও গোল সহায়তা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখার রেকর্ডও এখন মেসির।
প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৫ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন মেসি।
বিশ্বকাপে মেসির গোল। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় মেসি এখন জাস্ট ফন্টেইনের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে।
বিশ্বকাপ ও মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট মিলিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল এখন মেসির (বিশ্বকাপে ১৩, কোপা আমেরিকায় ১৩)। মেসি পেছনে ফেললেন ব্রাজিলের রোনালদোকে (২৫)।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খেলার রেকর্ডও এখন মেসির।
বিশ্বকাপ ফাইনালে জোড়া গোল করা সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় মেসি (৩৫ বছর)।
ইতিহাসের নবম ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ (সাবেক ইউরোপিয়ান কাপ) ও ব্যালন ডি’অর জয়ের কীর্তি গড়লেন মেসি।