গ্রুপ এ প্রিভিউ
ভারত নাকি পাকিস্তান, বিশ্বকাপে কে সেরা?
২ জুন শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিশ্বকাপ খেলবে ২০টি দল। গ্রুপ অনুযায়ী দলগুলোর শক্তিমত্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির ওয়েবসাইটে। কিশোর আলোর পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে সেই বিশ্লেষণ তুলে ধরছেন কাজী আকাশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে একই গ্রুপে খেলবে ভারত ও পাকিস্তান। গ্রুপ এ–তে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের সঙ্গে আরও আছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও কানাডা। এই গ্রুপের পাঁচটি দল বাকি চার দলের সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলবে। সেরা দুই দল যাবে পরবর্তী রাউন্ডে, অর্থাৎ সুপার এইটে। এই পাঁচ দলের মধ্যে কোন দুটি দল শেষ পর্যন্ত পরের ধাপে যেতে পারে, তা নিয়েই আজকের আলোচনা। পাশাপাশি কোন দলের সেরা খেলোয়াড় কারা, কোন দিন কোন দলের খেলা ও শেষ পর্যন্ত দলে জায়গা করে নিয়েছে কারা—সেসবও থাকবে আলোচনায়।
ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়ন ভারত। এরপর আরও সাতটি আসর মাঠে গড়ালেও শিরোপার দেখা পায়নি দেশটি। আসলে ২০১৩ সালের পর বড় কোনো শিরোপার দেখাই পায়নি তারা। এবারের আসরে ভারত চাইবে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরতে।
সেই সম্ভাবনাও কিন্তু অমূলক নয়। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছেন ভারতের অনেক খেলোয়াড়। তাঁদের অনেকেই জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। ভারতের টপ অর্ডার সামলাবেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জয়সোয়াল ও সূর্যকুমার যাদবদের মতো শক্তিশালী ব্যাটাররা। মিডল অর্ডারে ঋষভ পন্ত ও সঞ্জু স্যামসন আছে দুর্দান্ত ফর্মে।
হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের মতো অলরাউন্ডার আছেন দলে। বল হাতে বুমরা, সিরাজ, চাহাল ও কুলদীপ তো আছেনই।
৫ জুন ভারতের প্রথম খেলা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। যদিও প্রতিপক্ষের চেয়ে ভারত অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে খেলা হয় ব্যাট–বলে, খাতা–কলমে নয়। দেখা যাক, ভারতকে চমকে দিতে পারে কি না আইরিশরা।
ভারতের দল
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, যশস্বী জয়সোয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, শিভাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ।
রিজার্ভ খেলোয়াড়: শুবমান গিল, রিংকু সিং, খলিল আহমেদ ও আবেশ খান।
সময়সূচি
প্রধান খেলোয়াড়: জশপ্রীত বুমরা
চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর থেকে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন বুমরা। সম্প্রতি শেষ হওয়া আইপিএলে তাঁর দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকলেও বুমরা ছিলেন ভয়ংকর । ১৩ ম্যাচ খেলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০ উইকেট নিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। ওভারপ্রতি রান দেওয়ার হারও চোখে পড়ার মতো—৬.৪৮। এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। চোটে না পড়লে বুমরা একাই ধসিয়ে দিতে পারে যেকোনো দলের ব্যাটিং লাইনআপ।
পাকিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ দুই আসরে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। শিরোপাখরা ঘোচাতে সম্প্রতি বাবর আজমকে আবার অধিনায়কের ভূমিকায় ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বাবর ও রিজওয়ান পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের মূল ভরসা। এই দুজনের সঙ্গে সাইম আইয়ুব, ফখর জামান কিংবা ইফতেখাররা জ্বলে উঠলে শিরোপা নিয়েই ফিরতে পারে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শক্তি বোলিং। তাঁদের পেস আক্রমণে আছে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ আমিরের মতো অভিজ্ঞ বোলাররা। সঙ্গে স্পিন বিভাগের দায়িত্ব পালন করবে শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম।
৬ জুন স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। যেকোনো বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে আছে পাকিস্তান। কিন্তু খাতা–কলমে এগিয়ে থাকলেই যে সব ম্যাচ জেতা যায় না, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের দল
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ আমির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, ইফতিখার আহমেদ, ফখর জামান, আব্বাস আফ্রিদি, আজম খান, সাইম আইয়ুব, আবরার আহমেদ, উসমান খান ও হারিস রউফ।
সময়সূচি
প্রধান খেলোয়াড় - বাবর আজম
সম্প্রতিক ফর্ম খুব একটা ভালো নয় পাকিস্তানের অধিনায়কের। ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ তাঁর পারফর্মেন্স ছিল হতাশাজনক। ৯ ম্যাচের মাত্র ৪টি জিতে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল পাকিস্তান। দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে শাহীন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু বিশ্বকাপের ঠিক আগ মূহূর্তে বাবরকে আবার অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
তবে এখনো বাবর পাকিস্তানের মূল ভরসা। রেকর্ড সে কথাই বলছে। ১১৮ ম্যাচে ৪১.১ গড়ে ও ১২৯.৯১ স্ট্রাইক রেটে ৩ হাজার ৯৮৭ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাছাড়া আইসিসি ইভেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে বাবরের। ওয়ানডে বিশ্বকাপে খারাপ করলেও ভুলে গেলে চলবে না যে, তাঁর নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ দুই আসরে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলেছে দেশটি।
আয়ারল্যান্ড
টানা অষ্টমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। যদিও কাগজে কলমে ভারত-পাকিস্তানের থেকে পিছিয়ে আছে দলটি, কিন্তু মাঠের খেলায় যে কোনো বড় দলকে চমকে দিতে পারে আইরিশরা। চলতি মাসেই ঘরের মাটিতে তারা ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউণ্ডে যেতে এমনই একটা ম্যাচ খেলতে হবে তাঁদের।
এবার অ্যান্ড্রু বলবার্নির পরিবর্তে আয়ারল্যান্ডকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে পল স্টার্লিং। সঙ্গে দলে আছেন হ্যারি টেক্টর, লোরকান টাকার, রস অ্যাডাইর ও কার্টিস ক্যাম্ফারের মতো ব্যাটার। বোলিংয়ে মার্ক অ্যাডাইর, জশ লিটল ও গ্রাহাম হিউমের সঙ্গে হাত ঘোরাবেন গ্যারেথ ডেলানি ও বেন হোয়াইটের মতো অভিজ্ঞরা।
৫ জুন ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ব্যাচে নামবে আয়ারল্যান্ড। চমক দিয়ে ম্যাচটা জিততে পারলেই সুপার এইটের পথে এক পা দেওয়া থাকবে আইরিশদের।
আয়ারল্যান্ডের দল
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাডাইর, রস অ্যাডাইর, অ্যান্ড্রু বলবার্নি, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, জশ লিটল, ব্যারি ম্যাকার্থি, নিল রক, হ্যারি টেক্টর, লোরকান টাকার, বেন হোয়াইট ও ক্রেগ ইয়াং।
সময়সূচি
প্রধান খেলোয়াড় - পল স্টার্লিং
দীর্ঘদিন ধরে আয়ারল্যান্ডের ওপেনারের দায়িত্ব পালন করেছেন স্টার্লিং। এবার প্রথম সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর ভালোই এগিয়ে নিয়েছেন নিজেকে।১৪২ ম্যাচে ২৭.৬০ গড়ে ও ১৩৫.৪৩ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ৩ হাজার ৫৮৯। স্টার্লিং আয়ারল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তিনিই একমাত্র আইরিশ খেলোয়াড় যিনি টি-টোয়েন্টিতে ৩ হাজার রানের মাইলফল অতিক্রম করেছেন। দেখা যাক, এবার নিজের ক্যারিয়ারের মতো আয়ারল্যান্ডের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন কি না।
যুক্তরাষ্ট্র
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে খেলা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রকে ছোট করেও দেখা যাচ্ছে না। র্যাংকিংয়ের ১৮ নম্বরে থেকেও বাংলাদেশের মতো টেস্টখেলুড়ে দলকে প্রথম দেখায় সিরিজ হারিয়েছে তারা। নিজেদের দিনে যে কোনো বড় দলকে হারিয়ে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া নিজেদের মাটিতে খেলা। আবহাওয়া, দর্শকসহ কিছু সুবিধা তো পাবেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটিং লাইন আপে আছেন মোনাঙ্ক প্যাটেল, অ্যারন জোন্স ও স্টিভেন টেলর। তবে সবচেয়ে বড় নাম নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা কোরি অ্যান্ডারসন। পাশাপাশি আলি খান, সৌরভ নেত্রাভালকর ও হারমিত সিংয়ের মতো খেলোয়াড়েরা রয়েছে বোলিং লাইন-আপে।
উদ্বোধনী ম্যাচে ১ জুন কানাডার মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকতে চাইবে দেশটি। যদিও ভারত, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে টপকে সুপার এইটে যাওয়া তাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জের।
যুক্তরাষ্ট্রের দল
মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স, আন্দ্রিস গুস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলী খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ প্যাটেল, নিতিশ কুমার, নোশতুশ কেনিজিগে, সৌরভ নেত্রবালকার, শ্যাডলি ফন শালকভিক, স্টিভেন টেলর ও শায়ান জাহাঙ্গীর।
রিজার্ভ খেলোয়াড়: গাজানন্দ সিং, ইয়াসির মোহাম্মদ ও জুয়ানয় ড্রাইসডেল।
সময়সূচি
প্রধান খেলোয়াড় - আলি খান
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগের পরিচিত মুখ আলি খান। গতিশীল বোলিং ও নিখুঁত ইয়ার্কার দিয়ে সবার নজরে এসেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ৮ ম্যাচে ৯ উইকেট ও ওয়ানডেতে ১৫ ম্যাচে ৩৩ উইকেট নিয়েছে আলি খান। এরমধ্যে আছে একবার ৭ উইকেট, একবার ৬ উইকেট ও দুই বার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।
কানাডা
যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডাও নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে এবার। তবে বড় মঞ্চে অপরিচিত নয় কানাডা। এর আগে, ১৯৭৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছে দেশটি। দলে আছেন অভিজ্ঞ সাদ বিন জাফর। বয়সের দিক থেকে দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অভিজ্ঞ। ৩০ বছরের নিচে আছে মাত্র ৪ খেলোয়াড়।
কানাডার কানওয়ারপাল তাঠগুর যেমন মাত্র ৬টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেই দলে জায়গা পেয়েছেন, তেমনি এই দলেই আছে ৩৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার জুনাইদ সিদ্দিকি। আগামী ১ জুন ডালাসে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে কানাডা খেলবে উদ্বোধনী ম্যাচ। সে ম্যাচ জিততে পারলে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ উদ্বোধন করতে পারবে কানাডা।
কানাডার দল
সাদ বিন জাফর (অধিনায়ক), অ্যারন জনসন, ডিলন হেইলিগার, দিলপ্রীত বাজওয়া, হর্ষ ঠাকুর, জেরেমি গর্ডন, জুনাইদ সিদ্দিকি, কালিম সানা, কানওয়ারপাল তাঠগুর, নবনীত ঢালিওয়াল, নিকোলাস কার্টন, পরগাত সিং, রবীন্দ্রপাল সিং, রাইয়ানখান পাঠান ও শ্রেয়াস মোভা।
রিজার্ভ খেলোয়াড়: তাজিন্দার সিং, আদিত্য বরদরাজন, আম্মার খালিদ, যতীন্দর মাথারু, প্রবীণ কুমার।
সময়সূচি
প্রধান খেলোয়াড় - সাদ বিন জাফর
সাদ বিন জাফর। অধিনায়ক, ব্যাটার ও বোলার। কানাডার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ১৯ ম্যাচে ২২.৬৬ গড়ে ও ১৩৩.৯৯ স্ট্রাইক রেটে ২৭২ রানের পাশাপাশি হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। ব্যাটের চেয়ে বলেই যেন বেশি উজ্জ্বল তিনি। কানাডার ক্রিকেটার ও দর্শকরা নিশ্চই চাইবেন, জাফর উভয় বিভাগেই জ্বলে উঠুক।