গত ৫ ফেব্রুয়ারি লিগের ম্যাচে কলকাতার ইস্টবেঙ্গল মাঠে মুখোমুখি হয় কিকস্টার্ট এফসি আর ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা খেলোয়াড় সাবিনা খাতুন আর সানজিদা আক্তার। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড় নিজেদের ক্যারিয়ারে এই প্রথম একে অন্যের মুখোমুখি হলেন।
এ ম্যাচে কিকস্টার্ট ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ইস্টবেঙ্গল একমাত্র গোলটি সানজিদার। প্রথম মিনিটেই ১-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল ৩০ মিনিটের সময় পিছিয়ে যায় আরও একটি গোলে। ৪৮তম মিনিটে দারুণ এক গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন সানজিদা। তাঁর গোলটি এসেছে দূরপাল্লার ফ্রিকিক থেকে। ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটটি কিকস্টার্টের গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায়। তবে ৫৬ মিনিটে কিকস্টার্টের তৃতীয় গোলে আরও পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল।
সানজিদার খেলার শুরু হয়েছিল ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামে। গ্রামটি বেশ অবহেলিত। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিকূল পরিবেশে মেয়েরা ফুটবল খেলে। এখনো মেয়েরা অনেক কষ্ট করে ওই গ্রামে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। কলসিন্দুরের বর্তমান খেলোয়াড় কিশোরীদের জন্য কিশোর আলো গত বছর শুরু করেছে বিশেষ বৃত্তির কার্যক্রম। দ্বিতীয় বছরের মতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কলসিন্দুর গ্রামের একজন ক্রীড়াশিক্ষক, অদম্য ফুটবলারসহ মোট ৩৮ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। প্রথম বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৪ জন। এবার চারজন বেড়ে নবায়ন করা বৃত্তি কার্যক্রমের অংশ হয়েছে মোট ৩৮ জন।
২২ অক্টোবর কিশোর আলোর দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী ‘নগদ কিআ কার্নিভ্যাল ২০২৩’। মঞ্চে এসে জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড় কিশোর আলোর পাঠকদেরকে বলেছিলেন অনুপ্রেরণামূলক কথা।
সানজিদা বলেছিলেন, ‘সাফল্যের জন্য তিনটি জিনিসের খুব প্রয়োজন। পরিশ্রম করতে হবে, অনুশীলন করতে হবে আর স্যাক্রিফাইস করার মনোভাব থাকতে হবে। আর যত কষ্টই হোক না কেন, হার মানা যাবে না। কিশোর আলো আমাদের সঙ্গে সব সময় ছিল, সব সময় আছে। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে কিশোর আলো আমাদের খোঁজ রাখে। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমাদের সঙ্গে কিশোর আলোর এই সম্পর্ক বজায় থাকবে।’