প্রথমবার ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন ভারত ক্রিকেট দলের রোহিত-কোহলিরা। ভারত এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসরে, ২০০৭ সালে। দ্বিতীয় কাপটা জিততে ভারতের লেগেছে ১৭ বছর।
তবে এ জয়টা মোটেও সহজ ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ ওভার বাকি থাকতেও কেউ ভাবেনি দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতবে। সেই অসম্ভবকে প্রায় সম্ভব করেছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। তখন ৩০ বলে মাত্র ৩০ রান দরকার। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট। কিন্তু ক্লাসেনের বিদায়ে আর বুমরার অনবদ্য বোলিংয়ে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার শেষ ওভারে প্রোটিয়ারা করতে পেরেছে মাত্র ৮ রান। তার আগের ৩ ওভারে তারা তুলেছে মাত্র ১০ রান। এখানেই ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
২ জুন শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপের ৯ম আসর। চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলেছে মোট ২০টি দল। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল নিয়ে আয়োজিত হয় সুপার এইট পর্ব। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দল সুপার এইটে জায়গা পায়নি। সেখানে বরং প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র জায়গা করে নেয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে বাংলাদেশ ওঠে প্রথমবারের মতো সুপার এইটে। তবে সেখান থেকে ৩ ম্যাচের ৩টি ম্যাচে হেরে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলে আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আফগানরা ও ভারতের কাছে ইংল্যান্ড হেরে বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে। প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়ে জয়ের খুব কাছে থেকেও কাপটা দুহাতে জাগিয়ে তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।