ইতিহাস
অলিম্পিকের আরও ১০ মুহূর্ত
ফ্রান্সের প্যারিসে শেষ হয়েছে অলিম্পিকের ৩৩তম আসর। এ সময় অলিম্পিক ইতিহাসের সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক, বিস্ময়কর ও স্মরণীয় আরও কিছু মুহূর্তের কথা তোমাদের জানাচ্ছি…
১৯৬৮, মেক্সিকো সিটি
ডিক ফসবারি উচ্চ লাফের একটা নতুন কৌশল আবিষ্কার করেছিলেন। সবাই যেখানে সাধারণ পদ্ধতিতে মাথা ও শরীর সামনের দিক রেখে লাফ দেন, ফসবারি সেখানে লাফ দিয়েছিলেন পেছন দিক থেকে উল্টোভাবে। অবশ্য নতুন এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে উচ্চ লাফের ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন তিনি। এখন বেশির ভাগ মানুষ উচ্চ লাফের জন্য এই পদ্ধতি বেছে নেন।
১৯৬৮, মেক্সিকো সিটি
বিজয়ীদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাথলেট টমি স্মিথ ও জন কার্লোস মার্কিন জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় মাথা নিচু করে এবং কালো গ্লাভস পরা মুষ্টি উঁচিয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
১৯৬৮, মেক্সিকো সিটি
উচ্চ লাফে আগের রেকর্ডের চেয়ে আধা মিটারের বেশি ব্যবধানে লাফিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বব বিমন। এর পরের ২৩ বছরে তাঁর এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেননি।
১৯৭৬, মন্ট্রিয়ল
১৪ বছর বয়সে রোমানিয়ান জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমানেচি প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে ১০-এ ১০ স্কোর করেন। সেবার তিনি জিতেছিলেন তিনটি স্বর্ণপদক।
১৯৮৮, সিউল
কানাডিয়ান দৌড়বিদ বেন জনসন ১০০ মিটারের দৌড়ে জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু তাঁকে ড্রাগ গ্রহণের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এই ড্রাগ ব্যবহার করে অস্বাভাবিক ভালো পারফরম্যান্স করা যায়। কিন্তু অলিম্পিকে যেকোনো ধরনের ড্রাগ নিষিদ্ধ।
১৯৯৬, আটলান্টা
জিমন্যাস্ট কেরি স্ট্রাগ দলীয় প্রতিযোগিতার সময় বাজেভাবে গোড়ালিতে আঘাত পান। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আহত পা নিয়েই লড়তে হবে। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, ব্যথা পাওয়া পায়ের ওপর ভর দিয়েই তাঁকে স্ট্যান্ড করতে হবে। তিনি সেটা করেছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জিতেছিলেন স্বর্ণপদক।
২০০০, সিডনি
ইকুয়াটোরিয়াল গিনির সাঁতারু এরিক মুসাম্বানি। ১০০ মিটারের সাঁতারে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন মাত্র দুজন। বাঁশি দেওয়ার আগে সাঁতার শুরু করায় তাঁরা বাদ পড়ে যান। ফলে এরিক একাই সাঁতরান। ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মধ্যে সাঁতার শেষ করলে যাবেন পরের রাউন্ডে। কিন্তু তিনি সাঁতার শেষ করেন ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে। কারণ, সেবারই যে জীবনের প্রথম সাঁতার প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন। সবচেয়ে কম সময়ে ১০০ মিটার সাঁতারের রেকর্ডও তাঁর।
২০০৮, বেইজিং
জ্যামাইকান অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট সম্ভবত নিজেকে সর্বকালের সেরা দৌড়বিদ ঘোষণা করেছেন। কারণ, ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে তিনি একই অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছেন।
২০০৮, বেইজিং
মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপস বেইজিং অলিম্পিকে রেকর্ডসংখ্যক ৮টি স্বর্ণপদক জেতেন। যেকোনো অ্যাথলেটের তুলনায় তিনি বেশি পদক পেয়েছেন। তাঁর মোট ২৮টি পদকের মধ্যে ২৩টি স্বর্ণপদক।
২০২০, টোকিও
কাতারের মুতাজ বারশিম ও ইতালির জিয়ানমার্কো তামবেরি উচ্চ লাফে টাই করেন। এখন দুজনের মধ্যে হেড টু হেড প্রতিযোগিতা হবে। কিন্তু তাঁরা তা না করে স্বর্ণপদক দুজন ভাগ করে নেন।