বাংলাদেশ কি পারবে সেমিফাইনালে যেতে

নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক ফটো সেশন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেছবি : শামসুল হক

এবার ২০২৪ টি-টোয়েন্টি ওমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে; কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আরব আমিরাতে। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এখন এক নিয়মিত মুখ। যদিও এ বছর আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলছে; কিন্তু এর আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়েছে।

মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে। সে বছর সবাই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলেছে। তখন অবশ্য বাংলাদেশের জায়গা হয়নি। তখনো বিশ্ব অঙ্গনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর ২০১০ ও ২০১২ সালে আরও দুটি বিশ্বকাপ চেয়ে চেয়ে দেখতে হয় বাংলাদেশকে। কারণ, তখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য যে যোগ্যতা, সেটির মাপকাঠিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের দরজা খুলে যায় ২০১৩ সালে। যদিও সেবারই প্রথম মেয়েদের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু করে আইসিসি। তবে বাছাই পর্বের বেড়া ডিঙিয়ে নয়, স্বাগতিক দেশ হওয়ার সুবাদে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সেবার বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও আয়ারল্যান্ড।

বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা
ফাইল ছবি

২০১৪ সালে বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বি গ্রুপে পড়ে, যেখানে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের সঙ্গে ছিল শ্রীলংকা। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ শ্রীলংকাকে তিন রানে হারায় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত এটাই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র জয়।

২০১৫ সালে বাছাই পর্বে রানার্স আপ হয়ে বাংলাদেশ ২০১৬ বিশ্বকাপ খেলতে যায়। এরপর ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২২ সালে বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে গেলেও বিশ্বকাপের কোনো দলকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন

২০২৪ সালে স্বাগতিক দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলছে, যদিও এখন খেলাগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বি গ্রুপে পড়েছে। যেখানে রয়েছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাছাই পর্বে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া স্কটল্যান্ড। আর বাংলাদেশের প্রথম খেলা এই স্কটল্যান্ডের সঙ্গেই।

নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি
আইসিসি

বিশ্বকাপে উদ্বোধনী দিন ৩ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জয়ের আশা করছে বাংলাদেশ। একেবারে তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নটা একটু বড়। যদি আরও দুটি ম্যাচে জেতা যায়, তাহলে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন