ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ: ম্যাচউইক ১২
নতুন কোচ নিয়ে মাঠে ইউনাইটেড, ম্যানসিটি কি পারবে জয়ে ফিরতে
দুই সপ্তাহের বিশাল বিরতি শেষে আবারও মাঠে ফিরছে লিগ ফুটবল। লেস্টার সিটি বনাম চেলসির খেলা দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে দলগুলোর অবস্থা, মাঠের ভেতরে ও বাইরে খবরাখবর নিয়ে ‘ইপিএল উইকলি’র ম্যাচউইক ১২-এর ম্যাচ প্রিভিউ।
এক নজরে ম্যাচউইক ১১ শেষে প্রিমিয়ার লিগের টেবিল
লেস্টার সিটি বনাম চেলসি
কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ম্যাচের পুরো আলো থাকবে চেলসি কোচ এনজো মারেসকার দিকে। গত মৌসুমে এই স্টেডিয়ামই ছিল তাঁর ঘাঁটি। লেস্টারকে সঙ্গে নিয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নশিপ, এনে দিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের টিকিট। কিন্তু মৌসুম যেতে না যেতেই বদলে গেছে ঠিকানা। ইতালিয়ান কোচের নতুন ঠিকানা এখন চেলসি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সাবেক দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মারেসকা, চ্যালেঞ্জটা তাই একটু বেশিই।
কয়েক মৌসুম ধরে চলা চেলসির অচলাবস্থা অনেকটাই দূর করেছেন মারেসকা। তাঁর অধীনে নতুন প্রাণ পেয়েছে ব্লুজরা। তবে ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তাদের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনালের বিপক্ষে ড্র আর কারাবাও কাপে নিউ ক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে হার কিছুটা ব্যাকফুটে রেখেছে ব্লুজদের। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চোট। চোটের কারণে লেস্টারের বিপক্ষে না-ও দেখা যেতে পারে জ্যাডন সানচো, রোমিও লাভিয়া, এনজো ফার্নান্দেস এবং মোসেস কাইসেদোকে। সে ক্ষেত্রে মিডফিল্ডে ডিউসবারি-হলকে দেখা যেতে পারে ম্যাচের একাদশে। সেটাও আবার সাবেক দল লেস্টার সিটির বিপক্ষেই।
অন্যদিকে লেস্টার সিটিও ভুগছে ইনজুরির সমস্যায়। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অফ ফর্ম। চার ম্যাচ ধরে কোনো জয় নেই তাদের, হারতে হয়েছে নটিংহাম ফরেস্ট ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। তবে আশার কথা অধিনায়ক জেমি ভার্দি, জর্দান আয়েউ, রিকার্দো পেরেইরা ফিরতে পারেন এই ম্যাচেই।
সব মিলিয়ে ফেবারিটের কাতারে আছে চেলসি। তবে ঘরের মাটিতে লেস্টার চমকে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আর্সেনাল বনাম নটিংহাম ফরেস্ট
এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বললেও খুব একটা ভুল হবে না। ১১ ম্যাচে শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান, গোল ব্যবধানে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে আছে আর্সেনাল। সেটা বদলে যেতে পারে এই ম্যাচেই।
মৌসুমের শুরু থেকেই আর্সেনালের নজর ছিল রুপালি ট্রফিটার দিকে। কিন্তু ৪ ড্র আর ২ পরাজয়ে শীর্ষস্থান থেকে ৯ পয়েন্ট পেছনে মিকেল আর্তেতার দল। ফর্মও যাচ্ছেতাই। শেষ ৭ ম্যাচে মাত্র দুই জয়। সেটাও শাখতার দোনেস্ক ও প্রেস্টন ইউনাইটেডের মতো দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে। পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছে বোর্নমাউথ, নিউ ক্যাসেলের কাছে। তবে আশার কথা, চোট থেকে ফিরছেন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। তাঁর অভাব বেশ টের পেয়েছে গানার্সরা। শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই আর্সেনালের।
অন্যদিকে ফর্মের তুঙ্গে আছে পর্তুগিজ ম্যানেজার নুনো এসপারিতো সান্তোসের নটিংহাম ফরেস্ট। শেষ চার ম্যাচে তিন জয়, একমাত্র হার এসেছে নিউ ক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে তাদের ধরাশায়ী করতে বেশ পটু ফরেস্ট। এই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দিতে পারে লিগের পয়েন্ট টেবিলের ভবিষ্যৎ।
অ্যাস্টন ভিলা বনাম ক্রিস্টাল প্যালেস
মৌসুমটা কোনোভাবেই ভালো যাচ্ছে না এই দুই দলের। বিশেষ করে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করা ভিলা এ মৌসুমে নিজেদের ধারাবাহিকতা রাখতে ব্যর্থ। পাঁচ ম্যাচ ধরে জয়শূন্য, এর মধ্যে আবার টানা চার ম্যাচে হার। স্প্যানিশ কোচ উনাই এমেরির অধীনে উড়তে থাকা অ্যাস্টন ভিলা যেন হুট করেই হারিয়ে ফেলেছে নিজেদের। অথচ তাদের মৌসুম শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে। কে ভেবেছিল এক মাসের ব্যবধানে অবনমনের শঙ্কায় থাকা দলের বিপক্ষে মৌসুমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে তাদের?
অন্যদিকে বাজে শুরুর পর আস্তে আস্তে ফর্মে ফিরছে অলিভার গ্লাসনারের দল ক্রিস্টাল প্যালেস। শেষ চার ম্যাচে দুই জয়, এক ড্র। যদিও অবনমনের ঘণ্টা এখনো বাজছে তাদের ওপর। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিচার করলে ভিলার থেকে কিছুটা এগিয়ে আছে প্যালেস। এমনকি দুই দলের শেষ দেখায় জয় তুলে নিয়েছে তারা। তবে এবেরেকি ইজের ইনজুরি অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে প্যালেসকে।
বোর্নমাউথ বনাম ব্রাইটন
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে চমক ছিল বোর্নমাউথ। স্প্যানিশ কোচ আন্দোনি ইরাওলার অধীনে ইতিহাসের সেরা মৌসুম কাটিয়েছে তারা। গত মৌসুমের পারফরম্যান্স যে ফ্লুক ছিল না, তার প্রমাণ এই মৌসুম। ইরাওলার শিষ্যরা জয় তুলে এনেছে আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। ব্রাইটনও একই দোষে দোষী। জার্মান কোচ ফাবিয়ান হুৎজলার দলকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ব্রাইটনের পাঁচ জয়ের তিনটিই এসেছে লিগের পরাশক্তি বলে বিবেচিত ইউনাইটেড, সিটি আর টটেনহামের বিপক্ষে। আরেক শিরোপাপ্রত্যাশী আর্সেনালের বিপক্ষে ড্র।
মৌসুমের শুরু থেকে বোর্নমাউথ আর ব্রাইটন খেলছে একই ধাঁচে। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই পুরোপুরি আক্রমণাত্মক, হাই প্রেসিং—তাদের খেলার মূল রসদ। যেভাবে গোল করছে, অনেকটা একইভাবে গোল হজম করতেও হচ্ছে দুই দলকে। এ সপ্তাহের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ফুটবলের দেখা মিলতে পারে সমুদ্রপারের দুই দলের কাছ থেকে।
এভারটন বনাম ব্রেন্টফোর্ড
মৌসুমের তৃতীয় সর্বনিম্ন গোলদাতা বনাম মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ম্যাচটা কোন দিকে ঝুঁকে আছে, সেটা বলে দেওয়ার কিছু নেই। ডেনিশ কোচ থমাস ফ্র্যাঙ্কের অধীনে গোলমুখে ভয়ানক ফর্মে ব্রেন্টফোর্ড। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা তিন ম্যাচে প্রথম মিনিটেই গোল দিয়েছে তারা। বিশেষ করে আক্রমণভাগে ইয়োয়ান উইসা ও ব্রায়ান এমবুয়েমো আছেন ফর্মের তুঙ্গে। কিন্তু ২২ গোল করেও স্বস্তিতে নেই ব্রেন্টফোর্ড। যেভাবে গোল দিচ্ছে, মুদ্রার উল্টো পিঠে সেভাবে গোল হজমও করেছে তারা। যে কারণে এত গোল করেও পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ১১ নম্বর।
অন্যদিকে গত মৌসুমে পড়িমরি করে অবনমন থেকে বেঁচেছিল এভারটন। এবারও যেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১ গোল করেছে শন ডাইচের দল। অবশ্য ঘরের মাঠকে বেশ ভালোই সুরক্ষিত রেখেছে তারা। এই মৌসুমে নিজেদের মাঠে খেলা ৬ ম্যাচে মাত্র ১টিতে হেরেছে এভারটন। গুডিনসন পার্কে ব্রেন্টফোর্ডের সামনে বড় বাধা এটিই। প্রতিপক্ষের মাটিতে এখন পর্যন্ত একটি পয়েন্টও পায়নি ব্রেন্টফোর্ড। ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হার।
ফুলহাম বনাম উলভস
মার্কো সিলভার অধীনে প্রিমিয়ার লিগে ভালো শুরুর দেখা পেয়েছে ফুলহাম। আন্তর্জাতিক ম্যাচের বিরতি শুরু হওয়ার আগে টানা দুই জয় ভালো অবস্থানে রেখেছে তাদের। পশ্চিম লন্ডনের দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগের আশা জিইয়ে রেখেছে ভালোমতোই।
সে অনুযায়ী ব্যাকফুটে আছে উলভস। পয়েন্ট টেবিলের একেবারে শেষ দিকে তাদের অবস্থান। ভালো খেলেও কোনোভাবেই যেন জয়ের দেখা পাচ্ছে না নেকড়েরা। শেষ ম্যাচে সাউদাম্পটনকে হারিয়ে কোনোমতে চাকরি বাঁচিয়েছেন কোচ গ্যারি ও’নেইল। তবে দ্রুত অবস্থার উন্নতি না হলে হয়তো এ ম্যাচ শেষেই বিদায়ের পত্র ধরিয়ে দেওয়া হবে তাঁর হাতে।
ম্যানচেস্টার সিটি বনাম টটেনহাম হটস্পার্স
নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে এত বাজে সময় আগে পার করেননি পেপ গার্দিওলা। প্রথমবারের মতো টানা চার ম্যাচে হারের দেখা পেয়েছেন তিনি। অন্যান্য দল হলে হয়তো এতক্ষণে বিদায়ের দামামা বেজে উঠত, কিন্তু নামটা গার্দিওলা বলেই চার ম্যাচ হারের পর পেয়েছেন কন্ট্রাক্ট এক্সটেনশনের প্রস্তাব। কিন্তু তাই বলে এই স্প্যানিশ কোচের মাথাব্যথা এত সহজে নামছে না। টটেনহামের কাছে কারাবাও কাপে হেরেই শুরু হয়েছিল তাদের হারের মিছিল। তারপর হারতে হারতে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড় থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে সিটিজেনরা। সঙ্গে বেড়েছে চোটের তালিকা। ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রি আর রুবেন ডিয়াজ মাঠের বাইরে চলে গেছেন অনেক দিনের জন্য। চোটের কারণে মাঠের বাইরে জন স্টোনস, জেরেমি ডোকু, ফিল ফোডেন ও জ্যাক গ্রিলিশ। তাদের ফেরা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। সব মিলিয়ে মাঠের ভেতরে-বাইরে বেশ পর্যুদস্ত গার্দিওলা।
টটেনহামও যে খুব একটা ভালো অবস্থানে আছেন, তা-ও নয়। শেষ ম্যাচে হেরেছেন দ্বিতীয় বিভাগ থেকে এই মৌসুমে উঠে আসা ইপস্উইচ টাউনের কাছে। চোট ভোগাচ্ছে তাদেরও। তবে গোলমুখে তাদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন নেই কারও। ২৩ গোল করে এই মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল দেওয়া দল তারা। সেই সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে তাদের রেকর্ড বরাবরই ভালো। মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সিটিকে আটকে দেওয়ার ইতিহাস আছে তাদের। পরিস্থিতির বিচারে এ সপ্তাহের সবচেয়ে জমজমাট ম্যাচ হতে যাচ্ছে এটিই।
সাউদাম্পটন বনাম লিভারপুল
সাউদাম্পটন আর লিভারপুলের লড়াইটা অনন্য একটু ভিন্ন কারণে। টেবিলের শীর্ষ দল বনাম টেবিলের সর্বনিম্ন দলের খেলা সব সময়ই চমকের সৃষ্টি করে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা দলটা অপেক্ষায় থাকে সহজ জয়ের। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় ফর্মহীন দল। সাউদাম্পটনের মাঠে তাই লিভারপুলের লড়াইটা সহজ হতে যাচ্ছে না। ইয়ুর্গেন ক্লপের রেখে যাওয়া জায়গাটা বেশ ভালোভাবেই পূরণ করেছেন আর্নে স্লট। অ্যালিসন বেকার, ডিয়েগো জোটার চোটও টলাতে পারেনি তাদের। এই মৌসুমে ১১ ম্যাচে ১ হার আর ১ ড্র তারই প্রমাণ।
সাউদাম্পটন আছে ঠিক তার বিপরীত প্রান্তে। ১১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১ জয় আর ১ ড্র চোটের কারণে এখনো নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি তারা। ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচে চোটে পড়েছেন অ্যারন রামসডেল। এ ম্যাচে না-ও দেখা যেতে পারে তাঁকে। সব মিলিয়ে লিভারপুলের সামনে প্রতিরোধ গড়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই সাউদাম্পটনের। বিশাল জয় নিয়ে লিভারপুল মাঠ ছাড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ইপস্উইচ টাউন বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
শুধু ইউনাইটেড নয়, প্রিমিয়ার লিগের কমবেশি প্রতিটি সমর্থকের নজর থাকবে এই ম্যাচের দিকে। পর্তুগিজ কোচ রুবেন আমোরিমের অভিষেক বলে কথা। গত মৌসুমে তাঁকে নেওয়ার জন্য পাখির চোখ করেছিল প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। একে একে সবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আমোরিম ঘাঁটি গড়েছিলেন পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিংয়ে। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই ইউনাইটেডের ডাগআউটে দেখা মিলছে আমোরিমের। প্রথম ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছেন তিনি। ২২ বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছে ইপস্উইচ। ফিরেই দেখিয়েছে চমক, লিগের সর্বশেষ ম্যাচে তারা হারিয়ে দিয়েছে টটেনহামকে। তাই একেবারেই যে চিন্তামুক্ত থাকছেন রুবেন আমোরিম, ব্যাপারটা তেমন নয়। বরং তার নতুন ফর্মেশন এবং ট্যাকটিসের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারে ইউনাইটেড, সেটাও দেখার বিষয়। ফলে এই ম্যাচের দিকে আলাদা নজর থাকবে সবারই।
নিউ ক্যাসেল ইউনাইটেড বনাম ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড
স্প্যানিশ কোচ লোপেতেগির ওপর ভরসা করে বেশ বড়সড় খরচ করেছিল ওয়েস্ট হাম। সে অনুযায়ী তেমন কিছুই করতে পারছেন না তিনি। শেষ চার ম্যাচে একটি জয়। সেটিও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এই ম্যাচে ভালো কিছু না করতে পারলে চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যেতে পারে তাঁর।
অন্যদিকে নিউ ক্যাসেল ইউনাইটেডের কোচ এডি হাউ আছেন বেশ আরামেই। টানা তিন ম্যাচে জয় পেয়ে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ স্পটের জন্য বেশ ভালো অবস্থানে আছে তারা। চোটের কারণে বোটমান, ক্যালাম উইলসন ও কেইরান ট্রিপিয়ারকে না পেলেও তেমন বড় কোনো সমস্যা হচ্ছে না ম্যাগপাইদের। আলেকসান্দার ইসাক এবং জোয়েলিংটনে ভর করে ঠিকই উতরে যাচ্ছে তারা। ঘরের মাটিতে এই মৌসুমে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে। অঘটন না ঘটলে এ ম্যাচের ফলাফলও তাদের দিকেই যাচ্ছে।