অলিম্পিকের সেরা ১০ মুহূর্ত
ফ্রান্সের প্যারিসে শেষ হয়েছে অলিম্পিকের ৩৩তম আসর। এ সময় অলিম্পিক ইতিহাসের সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক, বিস্ময়কর ও স্মরণীয় কিছু মুহূর্তের কথা তোমাদের জানাচ্ছি…
১৯০৪, সেন্ট লুইস
মার্কিন জিমন্যাস্ট জর্জ আইসার কাঠের তৈরি কৃত্রিম পা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামেন। এক দিনে ছয়টি অলিম্পিক পদক জিতে পত্রিকার শিরোনামে এসেছিলেন। এর মধ্যে তিনটি ছিল স্বর্ণপদক। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি বাঁ পা হারালেও থেমে যাননি।
১৯০৮, লন্ডন
ইতালির অ্যাথলেট ডোরান্ডো পিয়েত্রি ম্যারাথনে হৃদয়বিদারক এক হারের শিকার হন। শেষ ৪০০ মিটার দৌড়াতে গিয়ে তিনি পাঁচবার পড়ে যান। তাঁকে উঠতে সাহায্য করেন রেফারিরা। সেবার তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েও স্বর্ণপদক পাননি। কারণ, রেফারিদের সাহায্যের কারণে তাঁকে খেলার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
১৯১২, স্টকহোম
শিজো কানাকুরি ম্যারাথনে দৌড় শুরু করেন। কিন্তু আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম থাকায় তিনি দৌড়াতে পারছিলেন না। ফলে স্থানীয় একটি পরিবার তাঁকে নিয়ে গিয়ে সেবা করে। দৌড় শেষ করতে না পারায় তিনি লজ্জিত হয়ে গোপনে জাপানে চলে যান। কিন্তু ১৯৬৭ সালে তাঁর ৭৫ বছর বয়সে আবার স্টকহোমে ফিরে আসেন ৫৪ বছর আগের দৌড় শেষ করতে।
১৯২৮, আমস্টারডাম
এই অলিম্পিকের শুরুতে প্রথম প্রতীকী মশাল জ্বালানো হয় একটি কড়াইয়ে।
১৯৩৬, বার্লিন
মার্কিন অ্যাথলেট জেসি ওয়েনস চারটি স্বর্ণ জিতে অলিম্পিকের সর্বকালের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। উচ্চ লাফ, ১০০ ও ২০০ মিটারের দৌড় ও ৪ × ১০০ মিটার রিলেতে জয় পেয়েছিলেন তিনি।
১৯৪৮, লন্ডন
ডাচ অ্যাথলেট ফ্যানি ব্লাঙ্কার্স কোয়েন প্রথম নারী, যিনি এক অলিম্পিকে চারটি স্বর্ণপদক জিতেছেন। তাঁর অলিম্পিক–জীবনে তিনি ৮টি ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। ১৯৯৯ সালে তাঁকে শতাব্দীর সেরা নারী ক্রীড়াবিদ নির্বাচন করা হয়।
১৯৫২, হেলসিঙ্কি
চেক অ্যাথলেট এমিল জেটোপেক ১৯৫২ সালে ৫ হাজার মিটার, ১০ হাজার মিটার ও ২৬.২ মাইল ম্যারাথন দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন। এখন পর্যন্ত একই বছরে এই তিন ইভেন্টে আর কেউ স্বর্ণপদক জিততে পারেননি।
১৯৬০, রোম
মূল অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে একই সময়ে প্রথম প্যারালিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়। তখন ২৩টি দেশের মোট ৪০০ অ্যাথলেট এতে অংশ নেন। ২০২০ সালে টোকিও প্যারালিম্পিকে ৪ হাজারের বেশি অ্যাথলেট অংশ নিয়েছিলেন।