বয়স এখন ৩৬, পরের বিশ্বকাপে যে আর খেলা হবে না, সেটা তো অনুমেয়ই। তাই এই বিশ্বকাপই হয়তো সাকিব আল হাসানের শেষ বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ দলের শেষ ম্যাচটাই তাই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপে সাকিবের সর্বশেষ ম্যাচ। কিন্তু গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে ৮২ রানের ইনিংস খেলার সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন তিনি। পরে এক্স-রেতে চিড় ধরা পড়ে। জানা যায়, বাংলাদেশের বাকি একটি ম্যাচ না খেলেই আজ সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন সাকিব।
বিশ্বকাপ থেকে সাকিব আল হাসান বিদায় নিলেন সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবেই। ৪১ গড়ে ১৩৩২ রান, সেই সঙ্গে ৪৩ উইকেট। এই রেকর্ডের ধারেকাছেও নেই বিশ্বের আর কোনো অলরাউন্ডার। নিজের শেষ ম্যাচেও দলকে জেতালেন, হলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। শেষটাও হয়ে থাকল স্মরণীয়ই।
তবে সাকিবের এমন হঠাৎ বিদায় আবেগী করে তুলেছে ভক্তদের। সামাজিক মাধ্যমে এখন শুধুই সাকিব-বন্দনা। বিশ্বকাপের পর সাকিব আর কতদিন খেলবেন, অবসরের পর কী করবেন, সেসব নিয়েও চলছে জল্পনাকল্পনা।
এসব বিষয়ে ভক্তদের ভাবনা এবারই প্রথম নয়। নানা সময়েই আলোচনায় এসেছে সাকিবের অবসর। সাকিব উত্তরও দিয়েছেন কখনো কখনো। সর্বশেষ আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত খেলতে চান তিনি।
আর অবসরের পরের পরিকল্পনা? এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কখনো কিছু বলেননি তিনি। তবে কিশোর আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেই মজার একটি উত্তর দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে সাকিবকে কিশোর আলোর কিশোরেরা প্রশ্ন করেছিল, অবসরের পর কী করবেন। জবাবে হাসতে হাসতে সাকিব বলেছিলেন, "দেখি! একটা বড় বাসা নেওয়ার চেষ্টা করব। একটা বড় হোম থিয়েটার রাখব। নিজের জন্য একটা ইজিচেয়ার রাখব। খেলা দেখতে দেখতে বসে চা-বিস্কুট খাব আর বলব, প্লেয়াররা এসব কী খেলে! হা হা হা... আমরা দারুণ খেলতাম!"
সাকিবের এই উত্তর বেশ কয়েকবার ভাইরাল হয়েছে কিশোর আলোর ফেসবুক পেজ থেকে। ভক্তরা মজাও পেয়েছেন অনেক। তবে সত্যিই সাকিব আর খেলবেন না, এই বিষয়টা মানতে পারেন না বেশিরভাগ ভক্তই। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্বকাপে দেখা গেছে সাকিবকে। পরের বিশ্বকাপ থেকে তাঁকে আর দেখা যাবে না, এটা মেনে নেওয়াটা ভক্তদের জন্য কষ্টের তো অবশ্যই।
পরের বিশ্বকাপ আসতে আসতে সাকিবের বয়স হবে ৪০। ততদিন পর্যন্ত তিনি খেলবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত তাঁরই। কিন্তু ভক্তরা নিশ্চয়ই সাকিবকে খেলার মাঠে দেখতে চাইবেন আরও অনেক দিন।