ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ: ম্যাচউইক ১২
গার্দিওলার হতাশার রাত, এনজো ফার্নান্দেজ-ওডেগার্ডের প্রত্যাবর্তন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ১২ নম্বর সপ্তাহ কেমন গেল দলগুলোর। ম্যাচউইক শেষে টেবিলের হালহকিকতই–বা কী রকম? ‘ইপিএল উইকলি’র ম্যাচউইক ১২-এর ম্যাচ রিভিউ দেখে নিন একনজরে।
লেস্টার সিটি ১-২ চেলসি
লেস্টার: জর্দান আয়েউ ৯০+৫’ (পেনাল্টি)
চেলসি: নিকলাস জ্যাকসন ১৫’, এনজো ফার্নান্দেজ ৭৫’
পুরোনো দল, পুরো শিষ্য; চেনা মাঠে চেনা পরিবেশে ফেরা নিয়ে ম্যাচের আগে থেকেই চিন্তার বলিরেখা ছিল চেলসি কোচ এনজো মারেসকার কপালে। কিন্তু নতুন শিষ্যদের নিয়ে পুরোনো শিষ্যদের পরীক্ষাটা বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছেন ইতালিয়ান কোচ। তবে কোচ এনজোর কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছেন মিডফিল্ডার এনজো। প্রায় এক মাস পর মূল একাদশে ফিরেছেন আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার। পুরো ম্যাচটা ছিল ক্যাপ্টেন’স শো। চেলসির দুটো গোলেই ছিল তাঁর অবদান। একটি করিয়েছেন, আরেকটি করেছেন। অধিনায়কত্বের সঙ্গে মাঝমাঠের গুরুদায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন ভালোভাবে। ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা আঁচ ফেলতে পারেনি তাঁর ফর্মে। অন্যদিকে চোট থেকে ফিরে লেস্টার অধিনায়ক জেমি ভার্দি তেমন কিছু করতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে জর্দান আয়েউ শুধু ব্যবধানই কমিয়েছেন।
আর্সেনাল ৩-০ নটিংহাম ফরেস্ট
আর্সেনাল: বুকায়ো সাকা ১৫’ থমাস পার্তে ৫২’, ইথান নুয়ানেরি ৮৬’
চেলসির মতো আর্সেনালের মাঝমাঠজুড়েও ছিল ক্যাপ্টেনস শো। মিকেল আর্তেতার কৌশলে মার্টিন ওডেগার্ড যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তা প্রমাণ হলো আরেকবার। মৌসুমের শুরু থেকে হোঁচট খেতে থাকা গানার্সরা মাঠে নেমেছিল কাই হাভার্টজ, ডেকলাইন রাইস, বেন হোয়াইটকে ছাড়া। তাঁদের অভাব যেন একাই পূরণ করেছেন ওডেগার্ড। মাঠের প্রতিটি প্রান্তে দেখা মিলেছে তাঁর, মাঠে বল মানে যেন ওডেগার্ড। সাকার প্রথম গোলের রূপকারও ওডেগার্ড। প্রথম গোলের পর ফরেস্ট নিজেদের সামলে নিলেও ডেডলক ভেঙে দেন বদলি হিসেবে নামা থমাস পার্তে। দূরপাল্লার শটে আর্সেনালকে এগিয়ে নেন দ্বিতীয়বারের মতো। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি নুনো এস্পারিতো সান্তোর দল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফরেস্টের কফিনে শেষ পেরেক পুরে দেন ১৭ বছর বয়সী ইথান নুয়ানেরি। এই গোল দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে গোলের খাতা খুললেন আর্সেনাল যুবদল থেকে উঠে আসা নতুন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
অ্যাস্টন ভিলা ২-২ ক্রিস্টাল প্যালেস
ভিলা: ওলি ওয়াটকিনস ৩৬’, রস বার্কলি ৭৭’
প্যালেস: ইসমাইলা সার ৪’, জাস্টিন ডিভেনি ৪৫+১’
টানা চার ম্যাচ হেরে এমনিতেই বেশ ব্যাকফুটে ছিলেন অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। চাকরি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ম্যাচে পয়েন্ট আনতে না পারলে হয়তো চাকরি নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হতো। তবে এ যাত্রায় উনাই এমেরিকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার রস বার্কলি। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই ৪ মিনিটের মাথায় ক্রিস্টাল প্যালেসকে এগিয়ে নেন ইসমাইলা সার। ৩৬ মিনিটে ভিলাকে সমতায় ফেরান ওলি ওয়াটকিনস। ৪৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান ইউরি তিলেমানস। প্রায় দেড় মিনিট ধরে ভিএআর চেক করে পাওয়া পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারেনি ভিলা। বরং সেখান থেকে বল নিয়ে ব্যবধান বাড়ান ক্রিস্টাল প্যালেসের জাস্টিন ডিভেনি। ৭৭ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করে সমতায় ফেরে অ্যাস্টন ভিলা। শেষ পর্যন্ত ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
বোর্নমাউথ ১-২ ব্রাইটন
বোর্নমাউথ: ডেভিড ব্রুকস ৯০+৩’
ব্রাইটন: হোয়াও পেদ্রো ৪’, কাওরু মিতোমা ৪৯’
এই সপ্তাহের ফিকশ্চারে বোর্নমাউথ-ব্রাইটন ম্যাচকে অনেকেই আলাদা করে মার্ক করে রেখেছিলেন। মৌসুমের শুরু থেকেই রোমাঞ্চকর ফুটবল উপহার দেওয়া সমুদ্রপারের দুই দল একে অপরের বিপক্ষে কেমন করে, সেটা দেখার আগ্রহ ছিল অনেকেরই। হতাশ করেনি দুই দল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দম ফেলার ফুরসত ছিল না কারও। শুরুতেই ব্রাইটনকে এগিয়ে নেন হোয়াও পেদ্রো। দ্বিতীয়ার্ধে কাওরু মিতোমার গোলে ব্রাইটন এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ৫৯ মিনিটে মিলোস কারেকেজকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাইটনের কার্লোস বালিবা। ১০ জনের দল নিয়েও সমানে সমান লড়ে যাচ্ছিল ব্রাইটন। তবে আরেকটু হলেও তীরে এসে তরি ডুবত তাদের। বদলি নামা ৯৩ মিনিটে ব্রুকসের গোলে ব্যবধান কমায় বোর্নমাউথ। ম্যাচের শেষ সেকেন্ডে পাওয়া কর্নার থেকে অ্যান্থনি সেমেনোর শট ফিরে আসে গোলবারে লেগে। নইলে প্রতিপক্ষের মাটি থেকে ড্র নিয়েই ফিরতে হতো ফাবিয়ান হুৎজলারের দলকে।
এভারটন ০-০ ব্রেন্টফোর্ড
১২ ম্যাচ পর অবশেষে থামল ব্রেন্টফোর্ডের গোলযাত্রা। ১০ জনের দল নিয়ে এভারটনের মাটি থেকে ‘মহামূল্যবান’ ১ পয়েন্ট ছিনিয়ে এনেছেন থমাস ফ্র্যাঙ্কের শিষ্যরা। ব্রেন্টফোর্ডের এক পয়েন্টকে মহামূল্যবানই বলতে হচ্ছে, এর আগে প্রতিপক্ষের মাটিতে খেলা ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হারতে হয়েছে তাদের। সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল লাল কার্ড। ম্যাচের ৪১ মিনিটে এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান নরগার্ড। তবে ১ পয়েন্টের সবচেয়ে বড় অংশীদার গোলরক্ষক মার্ক ফ্লেকেন। ৫টি সেভ ও ১৬টি রিকোভারি করে ম্যাচসেরার পুরস্কারও বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।
ফুলহাম ১-৪ উলভস
ফুলহাম: অ্যালেক্স আইওবি ২০’
উলভস: ম্যাথিয়াস কুনহা ৩১’, ৮৭’, হোয়াও গোমেস ৫৩’, গনসালো গেদেস ৯০+৫’
দেয়ালে একপ্রকার পিঠ ঠেকে গিয়েছিল কোচ গ্যারি ও’নেইলের। অবনমনের শঙ্কায় থাকা দল মাঠে যত ভালো খেলুক না কেন, পয়েন্ট আনতে না পারলে সবই অর্থহীন। উলভসের হয়েছিল সেই দশা, ভালো খেলেও যেন ম্যাচ কোনোভাবেই বের করে আনতে পারছিল না তারা। সাউদাম্পটনকে হারিয়ে ফিরেছিল জয়ের ধারায়, ফুলহামের মাঠে সেটাকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিল যেন। প্রথমে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল ফুলহাম। ২০ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন অ্যালেক্স আইওবি। এরপর শুরু হয় নেকড়েদের হুঙ্কার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথিয়াস কুনহার হুঙ্কার। দুই গোল, এক অ্যাসিস্টে উলভসের জয়ের নায়ক এই ফরোয়ার্ড। ৩১ মিনিটে করেন প্রথম গোল, ৫৩ মিনিটে জোয়াও গোমেজের করা গোলের কারিগরও ছিলেন তিনি। আর ৮৭ মিনিটে পূরণ করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফুলহামের জালে বল ঢুকিয়ে শেষ পেরেক ঠুকে দেন গনসালো গেদেস। এই জয় দিয়ে অবনমন থেকে এক ধাপ ওপরে উঠে এল উলভস।
ম্যানচেস্টার সিটি ০-৪ টটেনহাম হটস্পার্স
টটেনহাম: জেমস ম্যাডিসন ১৩’, ২০’, পেদ্রো পোরো ৫২’, ব্রেনান জনসন ৯০+৩’
ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচটা শুরু করেছিল ব্যালন ডি’অর উদ্যাপন দিয়ে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ বিরতির কারণে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রদ্রির ব্যালন ডি’অর উদ্যাপন বাকি ছিল। কিংবদন্তি বনে যাওয়া রদ্রির আনন্দের রাত এভাবে ম্লান হয়ে যাবে, সেটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি কেউ। টানা চার ম্যাচ হারার পর নিজেদের মাটিতে অন্তত ঘুরে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশা ছিল সিটিজেনদের। তাদের যে ‘হারযাত্রা’ শুরু করেছিল টটেনহাম, মেহমান হয়ে এসে তাতে আরেক দফা প্রলেপ দিল আগ্নে পোস্তেকোগলুর দল। টানা চারবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা হারের দেখা পেল টানা পঞ্চম ম্যাচে। সিটির বিশাল হারের সবচেয়ে বড় অবদান ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস ম্যাডিসনের। ১৩ ও ২০ মিনিটে পরপর দুই গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান জেমস। ৫২ মিনিটে ব্যবধান তিন গুণ করেন পেদ্রো পোরো। বদলি হিসেবে নেমে দলের চতুর্থ গোল করে সিটির ক্ষত বাড়িয়ে দিয়ে যান ব্রেনান জনসন। পুরো ম্যাচেই আড়াল থেকে টটেনহামকে সামলেছেন সুইডিশ মিডফিল্ডার ক্লুসেভস্কি। সিটির মাঠে সিটির মিডফিল্ডকে যেমন নিষ্ক্রিয় করেছেন, তেমনই আক্রমণেও রেখেছেন বড় ভূমিকা। বাজে ফর্ম আর চোটের প্রভাবে পুরো ম্যাচেই ছন্নছাড়া ছিল সিটি। যে দু–একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল, সেটাও হেলায় হারিয়েছেন আর্লিং হলান্ড।
সাউদাম্পটন ২-৩ লিভারপুল
সাউদাম্পটন: অ্যাডাম আর্মস্ট্রং ৪২’, ম্যাতেউস ফের্নান্দেস ৫৬’
লিভারপুল: দমিনিক সোবোসলাই ৩০’, মোহাম্মদ সালাহ ৬৫’, ৮৩’ (পেনাল্টি)
ম্যাচের আগে সাউদাম্পটন আর লিভারপুলের পার্থক্যটা ছিল আকাশ-পাতাল। টেবিলের শীর্ষ দল বনাম টেবিলের সর্বনিম্ন দল। অথচ মাঠের ফুটবলে নামতেই বোঝা গেল কীভাবে খালি চোখে সপ্তাহের সবচেয়ে একঘেয়ে মনে হওয়া ম্যাচটাও কতটা রোমাঞ্চকর হতে পারে। সাউদাম্পটনের মাঠ থেকে কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে ‘অল রেড’দের এমনটা আশা করেননি অনেকেই। তবে শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সালাহর নৈপুণ্যে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে আর্নে স্লটের দল। ৫ গোলের ম্যাচে শুরুটা করেছিল লিভারপুলই। সাউদাম্পটন ডিফেন্ডার ফ্লিন ডাউনেসের হাস্যকর ভুলে বল পেয়ে যান সোবোসলাই। দলকে সহজেই এগিয়ে নেন হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার। ১২ মিনিট পর পেনাল্টি পায় সাউদাম্পটন, লিভারপুল গোলরক্ষক কেলাহার পেনাল্টি থামালেও আটকাতে পারেননি গোল। দলকে সমতায় ফেরান অ্যাডাম আর্মস্ট্রং। ৫৬ মিনিটে সবাইকে অবাক করে সাউদাম্পটনকে এগিয়ে নেন ম্যাতেউস ফের্নান্দেস। এরপর শুরু হয় ‘সালাহ শো’। ৬৫ মিনিটে ফেরান সমতায়। ৮৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। দলকে আবারও এগিয়ে নেন সালাহ। ৮৮ মিনিটে সালাহর শট পোস্টে লেগে ফেরত না এলে হয়তো হ্যাটট্রিকটাও হয়ে যেত তাঁর।
ইপ্সউইচ টাউন ১-১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ইপ্সউইচ: ওমারি হাটচিনসন ৪৩’
ইউনাইটেড: মার্কাস রাশফোর্ড ২’
শুরুটা রাঙিয়ে রাখার মতো হলো না কোচ রুবেন আমোরিমের। নতুন কোচ আর নতুন ট্যাকটিসে নতুন ইউনাইটেডকে দেখার প্রত্যাশা ছিল অনেকেরই। কোচ বদলালেও বদলালো না ফলাফল। ইপ্সউইচ টাউনের মাঠ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হয়েছে রেড ডেভিলদের। শুরুটা অবশ্য হয়েছিল দুর্দান্ত। ৮২ সেকেন্ডেই দলকে এগিয়ে নেন মার্কাস রাশফোর্ড। কিন্তু এর পর থেকেই খেই হারাতে থাকে দল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে ইপ্সউইচ। ৪৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে দলকে সমতায় ফেরান ওমারি হাটচিনসন। প্রথমার্ধের দুই গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।
আমোরিমের ট্যাকটিসের সঙ্গে এখনো ঠিক মানিয়ে নিতে পারেনি ইউনাইটেড। খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব ছিল স্পষ্ট, ডাগ-আউটে আমোরিমকেও দেখা গিয়েছে বেশ হতাশ। বিশেষ করে চোটের কারণে ডিফেন্স ও সেন্টার মিডফিল্ডে পাননি নিজের পছন্দসই খেলোয়াড়। চিরাচরিত ট্যাকটিকস তাই খুব একটা কাজে লাগেনি। ছন্নছাড়া ইউনাইটেডকে পেয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ইপ্সউইচ টাউন। আন্দ্রে ওনানা না থাকলে হয়তো ১ পয়েন্ট ছাড়াই ফিরতে হতো তাদের।
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ০-২ ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড
ওয়েস্ট হাম: তমাস সুচেক ১০’, অ্যারন ওয়ান-বিসাকা ৫৩’
সেন্ট জেমস পার্কের সামনে স্যার ববি রবসনের বিশাল একটি ব্রোঞ্জ স্ট্যাচু রয়েছে। ওয়েস্ট হাম কোচ হুলেন লোপেতেগি ম্যাচ শুরু করেছিলেন সেই স্ট্যাচু ছুঁয়ে। লিগের এই পর্যায়ে পুরোনো শিক্ষকের আশীর্বাদ তাঁর একটু বেশিই প্রয়োজন। পুরোনো গুরুর আশীর্বাদ কী না কে জানে, লোপেতেগি ফল পেয়েছেন হাতেনাতে। দেড় মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে ওয়েস্ট হাম। জ্যারড বোয়েনের অসাধারণ পারফরম্যান্সে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে হ্যামার্সরা। ১০ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন তমাস সৌচেক। ৫৩ মিনিটে সমতা বাড়ান অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। ওয়েস্ট হামের জার্সিতে এটাই তাঁর প্রথম গোল। এই হার দিয়ে টেবিলের দশম স্থানে নেমে গেল নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার স্বপ্ন আস্তে আস্তে ফিকে হতে শুরু করেছে এডি হাউয়ের শিষ্যদের জন্য।