এশিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের বিশেষ স্বীকৃতি

২৩তম এশিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের পর্দা নেমেছে গত ২৯ মে। চলতি বছর ২১ মে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটারে বসেছিল এ আসর।

বাংলাদেশ থেকে ৭ সদস্যের একটি দল এ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে। রাজধানীর নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী আহমেদ সাদ সাবিত বাংলাদেশ থেকে একটি অনারেবল মেনশন বা সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে।

এশিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের জন্য নির্বাচিত সাত সদস্যের দলে ছিল ঢাকার নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী আহমেদ সাদ সাবিত, ঢাকার ডিপিএস এসটিএস স্কুলের শিক্ষার্থী মো. ফায়াজ সিদ্দিক, ঢাকা প্রিমিয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী মুহাম্মেদ সাইফান আলী, বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ইসমাম লাবিব, চিটাগং কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, খুলনার সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী এইচ এম কবির হাসান ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী নাফিউল হক। এ ছাড়া এই দলের সঙ্গে কোচ হিসেবে ছিলেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন। আর দলনেতা ছিলেন ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ জাহাঙ্গীর মাসুদ।

এর আগে আয়োজিত হয় ১৩তম ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক–প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াড। সেখান থেকে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্প করা হয়। ক্যাম্প শেষে নির্বাচনী পরীক্ষার মাধ্যমে এশিয়ান ফিজিক্স অলিম্পিয়াড দল বাছাই করা হয়।

১৩তম ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক–প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি। আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ব্যবস্থাপনায় ছিল দৈনিক প্রথম আলো। ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে ছিল কিশোর আলো ও বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা। টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে ছিল বিডিকম।

দেশের শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে ২০১১ সাল থেকেই আয়োজিত হচ্ছে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড। ফিজিক্স অলিম্পিয়াড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে bdpho.org ওয়েবসাইটে।