লিটন খুব সাহসী ছেলে, কোনো কিছুতেই তার ভয় নেই। সে শুধু ভয় পায় ইনজেকশন। ইনজেকশন দেখলেই তার জ্বর চলে আসে। একবার হলো কী, তার শরীর প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গেল। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি কিছু ওষুধ লিখে দিলেন আর একটা ব্লাড স্যালাইন করতে বললেন। লিটন জানে না যে ব্লাড স্যালাইন কী। সে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করল, বাবা, ব্লাড স্যালাইন কী? ব্লাড স্যালাইন যে শরীর ইনজেকশন হিসেবে দিতে হয়, তা বাবা জানতেন। লিটনকে সেটা বুঝিয়ে বলতেই বেঁকে বসল সে। গোঁ ধরল, সে কোনো দিনই হাসপাতালে যাবে না। তাই বাবা বললেন, এটা স্যালাইন, তবে এর আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে।
পরদিন লিটনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। তাকে বিছানায় শুইয়ে আনা হলো ব্লাড স্যালাইন। এরপর যখন চিকিৎসক স্যালাইনের সুই বের করলেন, তখন তো লিটনের মাথা খারাপ হয়ে গেল। তাকে আটকে রাখা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে সে বেঁধে রাখা স্যালাইন ঢকঢক করে খেতে শুরু করল। কী বিশ্রী! কিন্তু এ কাজ করায় তার তো কোনো লাভই হলো না, উল্টো ক্ষতি হলো। কেননা ওই স্যালাইন তো মুখে খাওয়ার স্যালাইন নয়। এরপর আরেকটা স্যালাইন এনে তার শরীরে প্রবেশ করানো হলো। ফলে লিটনকে সেই বিশ্রী স্বাদও সহ্য করতে হলো। আবার সুইয়ের খোঁচাও খেতে হলো। টাকাও দিতে হলো দ্বিগুণ।
কৌশিক ভৌমিক
সপ্তম শ্রেণি, নাটোর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, নাটোর