পৃথিবীটা কেমন, তাই না? সবাই যে যার মতো—পড়াশোনায় ব্যস্ত। দেখা হলে কেউ কথা বলে, কেউ বলে না। কেউ ব্যস্ত গল্পের বই, কেউ-বা কে-পপ নিয়ে।
অথচ এই মাঠটা সবাইকে নিজের কাছে বরণ করে নিচ্ছে। সবুজ ছোট ঘাসগুলো, মাটিতে ছড়ানো শিলকড়ই গাছের ছোট ছোট পাতা, আমের মুকুল, জবা ফুল, শহীদ মিনারের সিঁড়ি—এ সবকিছুই স্কুলটির নিষ্পাপ প্রাণগুলোর জন্য। ১৫-১৬ বছরের মেয়েগুলো সবাই নিষ্পাপ কি না, জানি না। কিন্তু খেলার মাঠে সবাই যেন বাঁধনহারা। একদমই বাচ্চাদের খেলা—বাবলগাম, এলন্টি লন্ডন...কিন্তু খেলার মানুষের অভাব ছিল না। প্রতিটি মেয়ের মুখে হাসি, যেন ১৫-১৬ নয়, ৫-৬ বছরের খুকি একেকজন।
খেলার সময় মনে থাকে না, কার সঙ্গে কবে ঝগড়া করেছিলাম। কার সঙ্গে কথা বলি না কিংবা কে আমার বন্ধু না। শুধু মনে হয়, এই মুহূর্তটা অনেক সুন্দর, অনেক মূল্যবান। এই মুহূর্তকে হারাতে চাই না কখনো। এই সময়টাতে লাভ-লোকসানের ভয় নেই কারও। আম্মু কিংবা টিচারের বকা খাওয়ার ভয় নেই। একজন চোর হয়ে আমাকে ধাওয়া করেছে, ব্যস—আমি দৌড়াচ্ছি। কোনো কি কারণ আছে? এত স্কুল, কোচিং, তারপরও কি এত দৌড়াদৌড়ি কেউ করে?
করে, কারণ এই আনন্দ শরীরকে ক্লান্ত করলেও মনকে কখনো ক্লান্ত করবে না। কিন্তু পড়ে গেল ছুটির ঘণ্টা, শেষ হয়ে গেল খেলাও। আমার চারপাশটাও হয়ে গেল ঠিক আগের মতোই।