কিআ কার্নিভ্যালে সকাল থেকেই চলছে জমজমাট সব সেশন। চলছে বিভিন্ন বিষয়ে আড্ডা। কার্নিভ্যালের ভেন্যুতে কাঁচে ঘেরা গ্রিন হাউজে সকালে ৯:৩০ মিনিটে শুরু হয় অভিনয় নিয়ে আড্ডা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আড্ডায় যোগ দেন চলচ্চিত্রনির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও অভিনয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং নুসরাত ইমরোজ তিশাকে প্রশ্ন করে কিশোর আলোর পাঠকেরা।
এক খুদে পাঠক প্রশ্ন করে, ‘আপনাদের ছেলেবেলায় কিশোর আলোর মতো প্ল্যাটফর্ম তো ছিল না। কিন্তু আপনারা যদি সুযোগ পেতেন, তাহলে কিআতে কোন কাজে যুক্ত হতেন?’ উত্তরে নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, ‘আমাদের সময় 'নতুন কুড়ি' ছিল। তখন সারা বাংলাদেশে নতুন কুড়ির কার্যক্রম ছিল। সেখানে আমি যুক্ত ছিলাম। তাই গান-নাটকের চর্চার মধ্যেই থাকতাম।’ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, তিনি বরাবরই চুপচাপ। বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন না। অনেক মানুষের মধ্যে কথা বলতে পারতেন না। তিনি দাবি করেন, কিআ পাঠকেরা তাঁর চেয়ে অনেক সাহসী।
পাঠকেরা জানতে চায় তাঁদের স্কুলজীবন সম্পর্কে। গুণী এই অভিনয়শিল্পী জানান, ‘আমি একদমই ভালো ছাত্রী ছিলাম না। তবে চেষ্টা করতাম পড়াশোনায় ভালো করার। স্কুলে কাটানো সময় বলতে আমার বন্ধুদের কথা মনে পড়ে। আমার অনেক বন্ধু ছিল, এমন না। কিন্তু আমার খুব ভালো কয়েকজন বন্ধু ছিল। ভালো বন্ধু জীবনে চলার পথ অনেক সহজ করে দেয়।’ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যুক্ত করেন, ‘আমি স্কুলজীবনে মনোযোগী ছাত্র ছিলাম না। শিক্ষকেরা কথা বলে যেতেন। আমরা শুনতাম। ছাত্র-ছাত্রীরা তার পড়ানো বুঝতে পারছে কি না, সেই বিষয়ে কোনো গুরুত্ব ছিল না।’
পরের প্রশ্ন, অভিনেতা না হলে কী হতেন? সামাজিক যোগাযগমাধ্যমে নেতিবাচকতা কীভাবে ম্যানেজ করেন? নুসরাত ইমরোজ তিশা জানালেন, ‘ছোটবেলায় ডাক্তার হতে চাইতাম। কিন্তু মেডিকেলের পড়াশোনার চাপ দেখে আর সাহস হয়নি। আর নেতিবাচকতা উপেক্ষা করি। যারা বাজে কথা বলে তারা আসলে আমাদের জীবনে কোনো বদল আনতে পারে না। তাই এসব কথা না শোনাই বুদ্ধিমানের কাজ।’
সম্প্রতি আলোচিত মুজিব সিনেমা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তিশাকে। পাঠক জানতে চায়, মুজিব সিনেমা নিয়ে কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন? তিশা বলেন, মুজিব চলচ্চিত্রটির জন্য আমরা চার বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। তিন মাস ধরে সিনেমার শুটিং হয়েছে। এমন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে চলচ্চিত্র যেকোনো অভিনেতা-অভিনেত্রীর জন্য সুবর্ণ সুযোগ। আমার জন্যও বিষয়টি একই।