করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ আছে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চেষ্টা করছে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার। এমন অবস্থায় দেশের শিক্ষাকার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত করণীয় আলোচনায় আসছে বারবার। কিশোর আলোর ফেসবুক পেজে প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে হচ্ছে আলোচনা অনুষ্ঠান। তরুণ শিক্ষাগবেষক মুনিয়া ইসলাম মজুমদার ও তাসনিম আফরোজের উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের নাম ‘হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা’। আয়োজনের তৃতীয় পর্ব প্রচারিত হবে আজ শনিবার, ১৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
এবারের আলোচ্য বিষয়, ‘বিভিন্ন শিক্ষামাধ্যম এবং সামাজিক শ্রেণির শিক্ষাদানের স্বরূপ বিশ্লেষণ ও করোনাকালীন অনুশীলন’। আলোচক হিসেবে থাকবেন ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার এম. সহিদুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মুকীত, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আমিনুর রহমান খান এবং দি আগা খান স্কুল, ঢাকার হেড অফ প্রাইমারি স্কুল শাতিলা রেজা।
এর আগে গত ১১ জুলাই প্রচারিত হয় হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। আলোচনায় করোনাপরিস্থিতিকে সামনে রেখে ঝরে পড়া শিশুদের পুনরায় অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত শিক্ষাকার্যক্রমের কথা উঠে আসে। বক্তরা আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষক, অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের চলমান পরিস্থিতিতেও শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রাখা, ডিজিটাল কন্টেন্টের পাশাপাশি ‘লার্নিং প্যাক’ তৈরি করা এবং তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ পর্বের আলোচক হিসেবে ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের এডুকেশন স্পেশালিস্ট ইকবাল হোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের পরিচালক টনি মাইকেল গোমেজ, ‘এসো শিখি’র সিইও এস এম তানভীর ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক জনাব এনামুল হক।
'হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা' আয়োজনের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার কিশোর আলো। ইয়ুথ এঙ্গেজমেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে প্রথম আলোর ফিচার পাতা স্বপ্ন নিয়ে। এ ছাড়া, নলেজ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) ও টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে রয়েছে লাইট অফ হোপ। আলোচনাটি কিশোর আলোর পেজ ছাড়াও ‘হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা’ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।