তখন আমি ওয়ান কি টুতে পড়ি। বেশ মোটাসোটা ছিলাম। বন্ধুর বাসায় দোলনা দেখে শখ হলো একটা দোলনা বানানোর। যেই ভাবা সেই কাজ। সকালে উঠেই আম্মুর ওড়না দিয়ে বারান্দায় বানিয়ে ফেললাম দোলনা। খুশি হয়ে নিজের বানানো দোলনায় চড়লাম। একবার, দুবার। কী যে মজা! তৃতীয়বার যখন চড়তে যাব, হঠাত্ মাঝখান থেকে ফেটে গেল ওড়নাটা। মাধ্যাকর্ষণ বলের টানে আছড়ে পড়লাম ধরণির বুকে। চেঁচিয়ে বাবাকে ডাকলাম। বাবা এসে দেখলেন আমি বারান্দার মেঝেতে অবস্থান করছি। আবারও দোলনাটা বানিয়ে দিতে বললাম বাবাকে। বাবাও আমার আবদার ফেলতে পারলেন না। যেহেতু বাবা বানিয়েছেন, তাই দোলনাটা বেশ শক্তই হলো এবার। তারপরও দোলনা তো দোলনাই। একটু পর আমি আবারও ধরণির বুকে আছড়ে পড়লাম। এবার আর কান্না আটকাতে পারলাম না। ওদিকে আমার বোকামিতে হাসতে লাগলেন বাবা। কোনোমতে নিজেকে সামলে আমাকে তুলে আনলেন। যদিও কাজটা বেশ কঠিনই ছিল তাঁর জন্য।
লেখক : দশম শ্রেণি, শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ, ঢাকা
অলংকরণ : সাদমান মুন্তাসির