কৌতুক (আগস্ট ২০১৮)
শিক্ষক ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করছেন—
: বলো তো তাজমহল কে তৈরি করেছিল?
: মিস্ত্রিরা স্যার।
পিঁপড়াগুলো লাইন বেঁধে একটি হাঁড়ির দিকে ছুটছে। একটি পিঁপড়া আরেকটি পিঁপড়াকে জিজ্ঞাসা করছে—বল তো, আমরা মানুষের কী উপকার করি?
দ্বিতীয় পিঁপড়া: মায়েরা মিষ্টির হাঁড়ি কোথায় লুকিয়ে রেখেছে, তা খুঁজে পেতে বাচ্চাদের সাহায্য করি।
ছেলে: মা, আমি না আব্বুর ৩০ হাজার টাকা বাঁচিয়ে দিলাম।
মা: তুই এত টাকা কোথায় পেলি?
ছেলে: আব্বু বলেছিলেন, পরীক্ষায় পাস করলে আমাকে একটা কম্পিউটার কিনে দেবেন। ওটা কিনে দিতে হবে না। এই দেেখা আমার রেজাল্ট!
শিক্ষক: পানির ফর্মুলা কী?
ছাত্র: HIJKLMNO
শিক্ষক: এটা আবার কী?
ছাত্র: কেন স্যার, আপনিই তো বলেছেন ‘এইচ টু ও’ (H থেকে O)
১ম বন্ধু: মানুষ একটা আজব যন্ত্র।
২য় বন্ধু: কেন রে?
১ম বন্ধু: আরে দেখ না, দিনে ২৪ ঘণ্টা মানুষের ব্রেন কাজ করে, বছরে ৩৬৫ দিন কাজ করে, জন্ম থেকে কাজ করে, কিন্তু পরীক্ষার হলে ঢোকার পর আর কাজ করে না।
এক ভদ্রলোক এক নামকরা হোটেলে খাওয়া শেষে বেরোনোর পর বেয়ারাকে পাঁচ টাকা বকশিশ দিলেন। বেয়ারা সবিনয়ে বলল, এই হোটেলে আমাকে পাঁচ টাকা দেওয়া মানে আমাকে অপমান করা।
ভদ্রলোক: তো, কত দিলে তুমি খুশি হবে?
বেয়ারা: আজ্ঞে, আরও পাঁচ টাকা।
ভদ্রলোক: দুঃখিত, তোমাকে দুবার অপমান করার কথা আমি ভাবতেই পারি না। না।
কানের সমস্যা নিয়ে এক বৃদ্ধ গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার তাঁকে একটা শ্রবণযন্ত্র দিলেন। এর এক মাস পর ফিরে এলেন সেই বৃদ্ধ। ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন, ‘কানে কেমন শুনছেন এখন?’
বৃদ্ধ: একদম পরিষ্কার।
ডাক্তার: ঘরের লোকজন নিশ্চয়ই খুব খুশি।
বৃদ্ধ: বাড়ির কাউকে এখনো জানাইনি। চুপচাপ বসে বসে ওদের কথা শুনি। এর মধ্যে পাঁচবার উইল পাল্টেছি।
বিমান চলছে। এক যাত্রী হঠাৎ করে হুড়মুড় করে প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়ল। চালক তো অবাক। চালককে আরও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।
তারপর লোকটা বলল, খারাপ লোক! আমরা টাকা দেব আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা!!
বল্টু: আমার একটা সমস্যা হচ্ছে।
ডাক্তার: কী…?
বল্টু: যখন যার সাথে কথা বলি তাকে দেখতে পাই না ।
ডাক্তার: কখন এ রকম হয়?
বল্টু: যখন ফোনে কথা বলি।
ক্লাস ওয়ানের বল্টুকে শিক্ষকের প্রশ্ন—
শিক্ষক: বল তো বল্টু, সবচেয়ে হাসিখুশি প্রাণী কোনটি?
বল্টু: হাতি স্যার!
শিক্ষক: কেন?
বল্টু: দেখেন না স্যার, হাতি খুশিতে সব সময় দাঁত বের করে রাখে।
মাঝরাতে পাবলিক লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ানের কাছে ফোন এল,
‘হ্যালো, লাইব্রেরি কয়টায় খোলে?’
‘আপনি কি এই কথা জানার জন্য এত রাতে ফোন করলেন?’
‘আহা! বলুন না লাইব্রেরি কয়টায় খোলে?’
‘সকাল নয়টায়...’
‘তার আগে খুলবে না?’
‘না।'
‘কোনোভাবেই খুলবে না?’
‘না...কেন, কী করবেন এত সকালে লাইব্রেরিতে এসে?’
‘আমি আসব কে বলল আপনাকে? আমি তো বেরোব...!’
ভীষণ দুষ্টুমি করে বলে বাবা তাঁর দুই ছেলেকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘এখন থেকে যে মায়ের সব কথা শুনবে, সপ্তাহ শেষে তার জন্য একটা পুরস্কার থাকবে।’
তাই শুনে বড় ভাই ছোট ভাইকে বলল, ‘এখানে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই রে, চল খেলতে যাই, সব পুরস্কার তো শেষ পর্যন্ত বাবাই পাবে!’
বইয়ের দোকানদার: এ বই পড়লে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫০ নম্বর তো পাবেই।
ক্রেতা ছাত্র: ঠিক আছে, তাহলে দুইখানা বই দিন।
গ্রন্থনাঃ হুসাম আল বিল্লাহ ও মুসাব্বির হুসাইন
অলংকরণঃ সব্যসাচী চাকমা