ভূতরাজ্যে আমার প্রবেশ

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

ছোটবেলায় মানুষ যে কত রকম স্বপ্ন দেখে! কেউ চিকিৎসক হতে চায়, কেউ পাইলট! কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকেই একটা বিচিত্র স্বপ্ন দেখেছি—ভূত হওয়ার স্বপ্ন। বড় হওয়া নিয়ে আমার কোনো স্বপ্ন ছিল না। আমি শুধু মরে গিয়ে ভূত হতে চেয়েছি। আমি যেহেতু এখনো মরিনি, তাই স্বপ্নটা পূরণ হবে কি না, এখনো ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে কিছু দয়াবান ভূতের কল্যাণে আমি ভূতের শহর থেকে ঘুরে এসেছি। আজ ভূতেদের শহরটা কেমন, তাই একটু খুলে বলি।

আমাকে ভূত সরদার যে শহরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, তার নাম ছিল ‘ভূতরাজ্য’। সরদার এতই দয়াবান, আমাকে এলাকাটা ঘুরে দেখানোর জন্য একজন লম্বু ভূত আর একজন বাচাল ভূতকে গাইড ‍হিসেবে পাঠিয়েছেন। শহরে ‍ঢুকতেই ওরা আমাকে লম্বা একটা সালাম দিয়ে ওদের বাসস্থান পরিদর্শনে নিয়ে গেল। ওদের ঘুমানোর ঘর, খাওয়ার ঘর, আড্ডা দেওয়ার জায়গা সবই দেখলাম। আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করল ওদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র। এখানে ওরা আওয়াজ করা, জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করা, অন্ধকার করে ফেলা, দেয়াল কাঁপানো ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের প্রশিক্ষণ নেয়! এরপর আমরা গেলাম স্মৃতি জাদুঘর দেখতে। ওখানে বিভিন্ন প্রবীণ ভূতের ছবি দেখলাম। তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখলাম। এরপর গেলাম খাবার খেতে। ওখানে পেটমোটা বাবুর্চি ভূত আমাকে ভূতেদের বিশেষ ধরনের সুস্বাদু এক স্যুপ খেতে দিল। খাওয়া শেষে ওদের অতিথিঘরে গিয়ে একটু বিশ্রামও নিয়ে নিলাম। দেখতে দেখতেই সন্ধ্যা হয়ে এল। তাই ভূত সরদারের সঙ্গে একটু দেখা করতে গেলাম। ইয়া লম্বা দাড়ি তাঁর! ওনাকে আমি ধন্যবাদ জানালাম আমাকে এখানে আসার অনুমতি দেওয়ার জন্য। এরপর দুই গাইড ভূতের থেকে বিদায় নিয়ে ফিরে এলাম পৃথিবীতে।

আমি এক সপ্তাহের ভেতর আবার যাব সেখানে। তোমরা চাইলে সেই অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেব তোমাদের সঙ্গে!

লেখক: শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণি, ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা

আরও পড়ুন