চন্দ্রজয় হয়েছে বহু আগেই। ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদে পা রেখেছেন। এরপর একে একে আরও ১১ নভোচারীসহ মোট ১২ জনের পদচিহ্ন আঁকা হয়েছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে। চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে নমুনা হিসেবে পৃথিবীতে আনা হয়েছে অনেক মাটি। এখনো বিভিন্ন দেশ নভোযান পাঠাচ্ছে চাঁদে। এর সর্বশেষ সংযোজন চীনের চ্যাং’ই ৬ নভোযান। চাঁদ থেকে সংগ্রহ করবে আরও নমুনা। কিন্তু চাঁদ গবেষণায় সবেচেয়ে এগিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এবার চাঁদে রেললাইন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। চাঁদে রেললাইন বসবে, ট্রেন চলবে, কিন্তু সেই ট্রেনে যাত্রী হিসেবে মানুষ থাকবে না। থাকবে গবেষণার কাজে পৃথিবী থেকে চাঁদে পাঠানো বিভিন্ন পেলোড। রকেট পৃথিবী থেকে যেসব বস্তু চাঁদে নিয়ে যাবে গবেষণার জন্য, তা–ই পেলোড। ম্যাগনেটিক লেভিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে ট্রেন চালানো হবে। মানে চাঁদের মাটিতে কিছু ম্যাগনেটিক ট্র্যাক বসানো হবে। সেই ট্র্যাকের ওপর ভেসে থাকবে কিছু রোবটিক ট্রে। তার ওপর দিয়েই চলবে ট্রেনটি। তবে ট্রেন কিন্তু চাঁদে গিয়ে বানানো হবে না। বরং পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ ট্রেনলাইন বানিয়ে তা চাঁদে নিয়ে যাওয়া হবে। নাসা জানিয়েছে, ওই ট্রেন প্রতি ২ সেকেন্ডে ১ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। দিনে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে এ ট্রেনের সাহায্যে। তবে এ সিদ্ধান্ত এখনো পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে। কত দিন পর চাঁদের মাটিতে প্রথম ট্রেন চলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তত দিন শুধু অপেক্ষা করতে হবে।