বই নিয়ে অনেক কিছুই তোমার জানা আছে। এর মধ্যে কোনোটি মজার তথ্য, কোনোটি আজব। যেমন তথ্যই হোক না কেন, পড়ুয়াদের কাছে বই নিয়ে বিচিত্র তথ্য সবসময়ই আকর্ষণীয়। একজন পাঠক হিসেবে বই নিয়ে এই তথ্যগুলো তোমার জানা আছে কি না, মিলিয়ে দেখো।
গুগল বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৮ লাখ বই প্রকাশিত হয়েছে। ১৪ বছর পরে এই সংখ্যা এখন অবশ্য অনেক বেশি। তাই তুমি যদি বলো ধুর, ‘পড়ার জন্য একটি ভালো বই খুঁজে পাচ্ছি না’, তবে জেনে রাখো, তোমার জন্য বেছে নেওয়ার মতো বেশ কিছু বই আছে।
মার্ক টোয়েনের নিশ্চয়ই অনেক ধৈর্য ছিল। টাইপ করে করে টাইপরাইটারে সরাসরি বই লেখা একসময় স্বাভাবিক হয়ে গেলেও শুরুটা নিশ্চয়ই সহজ ছিল না।
বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, লেওনার্দো দা ভিঞ্চির কোডেক্স লেস্টার বইটি কিনে নেন বিল গেটস। সবচেয়ে ধনী লোক সবচেয়ে দামি বই কিনবেন, এই তো স্বাভাবিক।
কারও কারও পুরোনো বইয়ের গন্ধ খুব ভালো লাগে। ধুলা, কাগজ আর বইয়ের আঠার গন্ধ মিলেমিশে যে গন্ধ তৈরি হয়, এর নাম ‘বিবলিওসমিয়া’। শব্দটি কি তোমার কমন পড়েছে? মানে তোমার কি পুরোনো বইয়ের গন্ধ ভালো লাগে?
একে বলে পড়ার নেশা। তুমি আবার প্রশ্ন কোরো না, এত বই পড়লে দেশ পরিচালনা করতেন কখন?
প্রথম দিকে মুদ্রিত বইয়ের প্রচ্ছদগুলো শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রচ্ছদগুলো রং-তুলিতে আঁকা, চামড়া দিয়ে বাঁধানো এমনকি সোনায় আচ্ছাদিত ছিল। তাই লেখকের নামের জন্য কোনো জায়গা ছিল না।
বার্নস অ্যান্ড নোবেলের মতে, ভিক্টর হুগোর লা মিজারেবলস-এ একটি বাক্য আছে, যেটি ৮২৩ শব্দের। জায়গার অভাবে বাক্যটি ছাপানো গেল না!
তার নাম ছিল অ্যালিস লিডেল। লিডেলের পরিবার লেখক লুইস ক্যারলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। নৌভ্রমণের সময় লিডেল লেখককে একটি গল্প বলতে বলেছিল। গল্প বলতে গিয়ে অ্যালিসের জন্ম হয়।
বিশ্বজুড়ে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন পড়তে বা লিখতে জানে না। দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় এই হার সবচেয়ে বেশি।
সম্ভবত বই পড়ার সঙ্গে আবহাওয়ার সম্পর্ক আছে। হতে পারে ঠান্ডার কারণে ঘরে বসে বই পড়তে তারা খুব ভালোবাসে। যেভাবেই হোক, আইসল্যান্ডের মানুষকে অভিনন্দন!
অতিরিক্ত আরেকটি তথ্য : কোনো কিছু পড়ার সুযোগ ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়কে বলে অ্যাবিবলিওফোবিয়া।
সূত্র: ইয়াহু নিউজ