যে ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ

ভোলা ঘূর্ণিঝড়ছবি: গার্ডিয়ান

১৯৭০ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছিল ভোলা ঘূর্ণিঝড়। এটি ১৯৭০ সালের গ্রেট সাইক্লোন নামেও পরিচিত। এটি একটি বিধ্বংসী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। একটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়গুলোর একটি। এই ঝড়ে তিন থেকে পাঁচ লাখ লোক মারা যায়।

ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে ৮ নভেম্বর সৃষ্টি হয় এবং ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উত্তরদিকে অগ্রসর হয়। ১১ নভেম্বর এটির গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছায় এবং রাতে উপকূলে আঘাত হানে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপগুলো প্লাবিত হয়। এতে বাড়িঘর, গ্রাম ও ফসলের মাঠ স্রোতে তলিয়ে যায়। এই ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল তজুমদ্দিন উপজেলা। এই উপজেলার ১ লাখ ৬৭ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৭ হাজার মানুষই (৪৬ শতাংশ) প্রাণ হারায়।

আরও পড়ুন

ল্যামবার্ট হিমবাহ আবিষ্কার

বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহটি হলো ল্যামবার্ট হিমবাহ। এটি আয়তনে এত বিশাল যে ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামের চেয়ে বড়। অ্যান্টার্কটিকার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ল্যামবার্ট হিমবাহ প্রায় ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি অ্যান্টার্কটিকার বরফপ্রবাহের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমবাহের তকমা পেয়েছে।

এই বিশাল হিমবাহ ১৯৫৬ সালের ১২ নভেম্বর আবিষ্কার করেন মার্কিন নৌবাহিনীর একটি গবেষণা জাহাজের ক্রুরা। ল্যামবার্ট হিমবাহের বিশালতা, সেখানকার বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি ও বরফের গতিশীলতা বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত। সেই সঙ্গে এটি জলবায়ু পরিবর্তন গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করে।

আরও পড়ুন