শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানে আগ্রহী করে তোলা ও গবেষণায় হাতেখড়ি দেওয়ার জন্য ২৩ মার্চ, শনিবার ‘এ এস ইসলাম স্কুল অব লাইফ’ কর্মশালার অনলাইন পর্ব আয়োজিত হয়েছে। অনলাইন পর্ব থেকে বাছাইকৃত ৩০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিগগিরই শুরু হবে অফলাইন ক্যাম্প। এ ক্যাম্পে থিওরির পাশাপাশি ল্যাবে হাতে–কলমে শেখানো হবে এক্সপেরিমেন্ট, নেওয়া হবে ল্যাব ক্লাস। পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য গবেষণাগারগুলো পরিদর্শন করানো হবে শিক্ষার্থীদের। পরে অফলাইন ক্যাম্প থেকে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের ফেলোশিপ দেওয়া হবে। পাশাপাশি তারা পাবে দেশের স্বনামধন্য গবেষণাগারগুলোতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ।
চার দিনের অনলাইন কর্মশালায় অংশ নেয় প্রায় ১৬০ জন শিক্ষার্থী। দুটি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে জুনিয়র ক্যাটাগরি এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিনিয়র ক্যাটাগরি। চার দিনে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ছয়টি এবং সিনিয়র ক্যাটাগরিতে সাতটি সেশন নেওয়া হয়। পাশাপাশি আয়োজিত হয় অনলাইন কুইজ ও অ্যাসাইনমেন্ট।
এ কর্মশালায় আলোচনা করেন দেশসেরা গবেষকেরা। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিফাত আরা বেগম, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুশতাক ইবনে আয়ূব, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুরুল করিম, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহাবুবুর রশিদ, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব লাইফ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবরিনা মারিয়াম ইলিয়াস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌমিত্র চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আদনান মান্নান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হাসীব মুহাম্মদ ইরফানউল্লা এবং ইনস্টিটিটিউট অব টেকনোলজি ট্রান্সফারের ডিরেক্টর রেজাউল করিম।
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ আহমদ শামসুল ইসলাম। তাঁর নামেই এ আয়োজনের নামকরণ করা হয়েছে এ এস ইসলাম স্কুল অব লাইফ। তিনি বাংলাদেশে প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির (বিএপিটিসিবি) প্রতিষ্ঠাতা। পাটের দুটি জাত ‘তোষা’ ও ‘দেশি’-এর মধ্যে সংকরায়ণ ঘটিয়েছেন। শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সরকারি সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
‘স্কুল অব লাইফ’ যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি, গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনোলজিস্ট ও মাকসুদুল আলম সায়েন্স ল্যাবরেটরি (ম্যাসল্যাব)।