টাকার রহস্য

অলংকরণ: মাহাতাব রশীদ
অনেকেই আছে, যারা রহস্যের গন্ধ পেলে ছোঁক ছোঁক করে ওঠে। সুযোগ পেলেই গোয়েন্দাগিরি করতে কোমর বেঁধে লেগে পড়ে। কিন্তু সত্যিকার গোয়েন্দা হতে হলে আগে দরকার ক্ষুরধার বুদ্ধি। সে জন্য চোখ-কান খোলা রাখা আর রহস্য নিয়ে নিয়মিত মাথা ঘামানোর বিকল্প নেই। রহস্যপ্রিয় পাঠকদের জন্য থাকছে রহস্য ধাঁধা। নিজে নিজে এর সমাধান করে আপাতত গোয়েন্দা বনে যেতে পারো।

একবার স্কুলে সায়মার ১০০ টাকা খোয়া গেল। বেচারি তো কেঁদেকেটে একাকার। আবার একই সময় তানিয়ার কাছে ১০০ টাকার একটা নোট পাওয়া গেল। ক্লাসের সবাই ভাবল তানিয়াই নিয়েছে টাকাটা। বিচার দেওয়া হলো শিক্ষকের কাছে। শিক্ষকের এক প্রশ্নের জবাবে তানিয়া বলল, ‘না স্যার। সায়মার টাকা আমি নিইনি। এটা অনেক আগে আমার হ্যারি পটার বইয়ের ২৩ আর ২৪ পৃষ্ঠার মধ্যে রেখেছিলাম।’ শিক্ষক বুঝে ফেললেন যে তানিয়া মিথ্যা বলছে। প্রশ্ন হলো, তিনি বুঝলেন কীভাবে?

উত্তর

সে বইটাতেও আর সব বইয়ের মতো বেজোড়সংখ্যক পৃষ্ঠা ডান দিকে ছিল। অর্থাৎ২৩ আর ২৪ পৃষ্ঠা দুটো আসলে একই কাগজের দুটো দিক। তাই, ২৩ আর ২৪ পৃষ্ঠার মধ্যে কোনো টাকা রাখা সম্ভব না।

আরও পড়ুন